২০ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিটি দলের অংশগ্রহণ রাজনীতিতে সুবাতাসেরই ইঙ্গিত বহন করছে। অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠ নির্বাচনে জনগণ নিবির্ঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন তাদের প্রতিনিধি। এই নিবির্ঘ্নে ভোট দেয়ার পরিবেশ সরকার তথা অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক জোট এবং দলকে নিশ্চিত করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট সরকার গঠন করবে। দেশের নেতৃত্বে থাকার সুযোগ পাবেন পাঁচ বছর। গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে যাবে দেশ। সেই সাথে এগিয়ে যাবে আমাদের অর্থনীতি।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নতির পথে অনেক দূর এগিয়েছে। ১৭০টি দেশে রফতানি হচ্ছে ঔষধ। পোশাক রফতানি হচ্ছে প্রায় ২০০টি দেশে। এছাড়াও কয়েক শত বিভিন্ন পণ্য রফতানি করছে বিশে^র বিভিন্ন দেশে। আগামী নির্বাচন পরবর্তী সরকার ব্যবসাবান্ধব হয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে, নতুন নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে-এমনটাই প্রত্যাশা করছে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ।
আমরা জানি, বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা করবে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল বা মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে একটি সত্যিকার অর্থেই উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কারণ, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল পেতে দরকার গণতান্ত্রিক সুষ্ঠ পরিবেশ-যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব এদেশের রাজনীতিবিদদের।
সংসদীয় গণতান্ত্রিক সুষ্ঠ পরিবেশ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের অর্থনীতির উন্নতি হবে, মাথাপিছু আয় বাড়বে, মানুষের ব্যয় সক্ষমতা বাড়বে, ভোগ বাড়বে, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে, দেশে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগে আরো বেশি আগ্রহী হবে। সর্বোপরি একটি টেকসই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ^ দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি।
ঋণখেলাপী ও দুর্নীতির বিষয়টি প্রায় বছরজুড়ে থাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বর্তমান প্রজন্ম বিশ্বাস করে, দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরের বিশেষ করে খেলাপী ঋণ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো বেশি বেগবান হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর যাতে এ বিষয়ে আরো নজরদারি বাড়াতে পারে সেজন্য আগামী সরকারকে কঠোর হতে হবে।
আগামী নির্বাচনে যে জোটই ক্ষমতায় আসুক, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ঈর্শনীয় অগ্রযাত্রার সাফল্য অব্যাহত থাকবে সেটাই দেশের সর্বস্তরের নাগরিকের একমাত্র প্রত্যাশা। সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় হোক, সেই সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ স্থান পাক বিশ্ব দরবারে-সেটাই প্রত্যাশা করছেন বর্তমান প্রজন্মের নতুন ভোটার, ব্যবসায়ী সমাজ তথা সর্বস্তরের জনগণ।