দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী কবি লেখক ফরহাদ মজহার অপহরণের বিষয়টি রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। ঢাকার বাসা থেকে হারিয়ে যাওয়া এবং খুলনা থেকে ঢাকার বাসে যশোরে উদ্ধারের বিষয়টি রয়ে গেছে অজানা। উদ্ধার হওয়ার পর তিনি দাবি করেছেন, চোখের ড্রপ কেনার জন্য তিনি ভোরে রাস্তায় নামলে ৩ জন লোক তাকে ধাক্কা দিয়ে একটা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়, প্রথমে অপহরণকারীরা ২ কোটি টাকার মুক্তিপণ দাবি করে, পরে ১ কোটি টাকা। তিনি ৩০/৩৫ লাখ টাকা দিতে রাজী হলে তারা টাকা প্রস্তুত রাখতে বাসায় ফোন করতে বলে, কিন্তু পরে তাকে খুলনায় ছেড়ে দেয়া হয় একটা বাসের টিকেটও দেয়া হয়, ফেরার সময় যশোর থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ফরহাদ মাজহারের এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ।
ফরহাদ মজহার দেশের নামকরা একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি নানা কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও পরিচিত। সম্প্রতি তিনি বিরোধী দল বিএনপির প্রতি অভিমাত্রায় ঝুঁকে পড়েছিলেন। তার অন্তর্ধান নিয়ে নানা কথা চাউর হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি চার্জার টুথপেস্ট প্রভৃতি নিয়ে নিজেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে ফরহাদ মাজহার দাবি করেছেন সরকারকে বিব্রত করার জন্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ ঘটনায় ফরহাদ মাজহারের কোন দোষ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অবাধে চলাফেরা ও মত প্রকাশ করা তার সাংবিধানিক অধিকার। এখানে বিরুদ্ধ মত থাকতেই পারে, থাকতে পারে ভিন্ন মতাদর্শের বিশ্বাস। ফরহাদ মজহারের বিষয়ে যে যাই বলুক, রাষ্ট্র যন্ত্রের দায়িত্ব বিষয়টির সঠিক তথ্য উৎঘাটন করে তা প্রকাশ করা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে নইলে এ ধরনের ঘটনার পুর্ণরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে যা সরকার ও দেশের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে।