নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষকে বিপাকে পড়তে হবে। জীবন রক্ষা করা দুরহ হয়ে উঠবে তাদের জন্য। পনেরো শতাংশ ভ্যাট কার্যকর হলে বড় প্রভাব পড়বে দেশীয় পোশাক, জুয়েলারি, রেস্তোরা, ফাস্টফুড এবং গৃহ নির্মাণে। এছাড়া দাম বাড়তে পারে টুথপেস্ট, ব্রাশ, সাবানের মতো নিত্যপণ্যের। সংকুচিত ভিত্তিমূল্য ও ট্যারিফ লাইন উঠে যাওয়াকেই এর কারণ বলছেন বিশ্লেষকরা।
ঘুম থেকে উঠেই চাই টুথপেস্ট, ব্রাশ, সাবান, সেভিং সামগ্রী আর পারফিউম। পয়লা জুলাই থেকে এসব পণ্য কিনতে দিতে হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। গুনতে হবে বাড়তি টাকা।
নতুন ভ্যাট আইনের বড় প্রভাব পড়বে পোশাক কেনাকাটায়। এখন দেশি ব্র্যান্ডে ভ্যাট দিতে হয়, শতকরা ৪ টাকা। নতুন আইনে বাড়তি দিতে হবে আরো ১১ টাকা। একইভাবে ভ্যাট বাড়বে মোবাইল ফোন, জুতা, বেল্ট, মানিব্যাগ, ঘড়ি, চশমাসহ বেশকিছু পণ্যের দাম। সোনা-রূপার গহনায় ১০০ টাকায় খরচ বাড়বে ১০ টাকা।
রেস্টুরেন্টে খেতেও ভ্যাট দিতে হবে ১০০ টাকায় ১৫ টাকা। ফাস্টফুডে থাকা ১৫ শতাংশ ভ্যাটের সঙ্গে যোগ হচ্ছে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ১৫ শতাংশ ভ্যাট লাগবে চা-পাতা কিনতেও।
বিদ্যুৎ বিলে ১০০ টাকায় ৫ টাকা ভ্যাট পয়লা জুলাই থেকে দিতে হবে ১৫ টাকা। ভবন নির্মাণে রডে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপে প্রতি টনে এর দাম বাড়বে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার টাকা।
শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ভোজ্যতেলে ভ্যাট না বসলেও সম্পূরক শুল্কের কারণে দাম বাড়বে মসলার। বিশ্লেষকেরা বলছেন ভ্যাটের এই বাড়তি বোঝা সামলাতে বেশকিছু খাতে ব্যয় বন্ধ করতে হবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাকে। আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে চলতে পারবে না দেশের অধিকাংশ মানুষ।