আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একদিনে ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপান। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভোরেও অনুভূত হয়েছে ভূ-কম্পন। দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর থেকেই ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠেছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল। মূল ভূমিকম্পটির গভীরতা এতটাই ছিল যে, তার আঁচ পেয়েছে দূর পশ্চিমের দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলও।
ভূমিকম্পের পর দেশটিতে আঘাত হেনেছে সুনামিও। এবার জানা গেল, একদিনেই জাপানে ১৫৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জাপানের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী কম্পনসহ ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে । এদিন আঘাত হানা বেশিরভাগ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ এর বেশি। এসব ভূমিকম্প মাঝারি মাত্রার হলেও মঙ্গলবার ভোরেও দেশটিতে ছয়টি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, জাপানের হোনশু প্রধান দ্বীপের ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫। তবে জাপানি কর্তৃপক্ষ এই কম্পনকে ৭.৬ মাত্রার বলে অভিহিত করেছে।
জাপানি কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, সোমবার মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত জাপানে আঘাত হানা ৯০টিরও বেশি ভূমিকম্পের মধ্যে এই কম্পনও একটি।
ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় ইশিকাওয়া অঞ্চলে ‘বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। পরে অবশ্য তা ‘সুনামি সতর্কতায়’ নামিয়ে আনে দেশটির আবহাওয়া অফিস। তবে কর্মকর্তারা এখনো সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছেন। জাপান সাগরের উপকূলীয় কয়েকশ কিলোমিটার এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে উঁচু এলাকায় নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বার্তাসংস্থা এএফপি বলেছে, সোমবারের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনও বাড়ছে। বিভিন্ন ফুটেজে ভেঙে পড়া ভবন, বন্দরে ডুবে যাওয়া নৌকা, অগণিত পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরসহ তীব্র শীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতভর বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ভূমিকম্পের বিষয়ে মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ‘নতুন বছরে জাপানের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পে অসংখ্য হতাহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।