তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শিমুলতলা বাজার সংলগ্ন দাসপাড়া গ্রামের রাস্তার দুপাশে থাকা সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অর্থে লাগানো বেলজিয়াম গাছগুলো কাঁটার চলছে হিড়িক।
শিমুলতলা বাজার সংলগ্ন দাসপাড়া গ্রামের বর্ষিজোরা,ছালামিটিলা রাস্তার পাশের দুই ধারের বৃহৎ আকারের অনেক মূল্যবান গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী। গোপন তথ্যে জানা যায় স্থানীয় বাসিন্দা মৃত খয়ের উল্লার ছেলে আব্দুল রকিব এসব গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে সরাসরি স’ মিলে।
পরে গাছগুলো কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আইনের কোন কিছু তোয়াক্কা না করে নিয়মবালাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট বাণিজ্য। ফলে যেমন পরিবেশের ক্ষতি সাধিত সহ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা গাছগুলো গুলাকার সাইজ করে ভ্যান ও ট্রাক যোগে নিজেদের পছন্দের বিভিন্ন স’মিলে নিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ভোর বেলা থেকে চলে প্রভাবশালী আব্দুল রকিবের নিজস্ব লোক দিয়ে গাছ কাটার হিড়িক। স্থানীয় লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়না।
তবে এ বিষয়ে ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। তিনি এও বলেন গত শনিবার এই গাছকাটার বিষয়টি জানতে পারেন এবং সাথে সাথে ৭নং ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার হুমায়ুন কবির শাওনকে অবহিত করে সরজমিনে গিয়ে দেখতে পান সরকারি অর্থায়নে লাগানো রাস্তার পাশের গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আব্দুল কবির এর বাড়িতে। তৎক্ষণাৎ সময়ে মেম্বারসহ এলাকার স্থানীয় লোকজন নিয়ে আব্দুল কবির এর বাড়িতে গিয়ে কাটা গাছগুলো জব্দ করেন। তিনি তখন আব্দুল রকিবেকে গাছকাটার অনুমতি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও গাছ কর্তনকারীদের অফিসে আসার নির্দেশ প্রদান করেন।
ইউপি কার্যালয়ে এসে কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। বনবিভাগের কর্মকর্তা ও গাছ কাটার বিষয়ে অবগত আছেন এবং অদৃশ্য কোন কারণ বশত আইনি কোন পদক্ষেপ গ্ৰহন করেননি।