স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যেখানে টানা হারে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিক মেয়েরা। তাই এই ম্যাচটি তাদের কাছে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। এদিকে ম্যাচটি জিততেই হবে বাংলাদেশের মেয়েদে। কেননা হারলে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পাবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এমন ম্যাচে কঠিন লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে সফরকারীরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে টাইগ্রেসরা। তাতে ২২ রানে জয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে সফরকারীরা। ভারতের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ধুঁকতে থাকে টাইগ্রেস ব্যাটাররা। দলীয় ৫২ রানে মধ্যে টপ অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে শরিফা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রিতু মনি।
এই দুই জুটিতে ৫৭ রান যোগ করে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে টাইগ্রেসরা। তবে দলীয় ১০৯ রানে রিতু আউট হলে ভাঙে এই জুটি। আউট হবার আগে ৩৭ রান করেন তিনি। রিতুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রাবেয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান শরিফা। তবে তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশ। তাতে ২১ রানের জয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে ভারতের মেয়েরা। ভারতের হয়ে বল হাতে রাধা যাদব নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ২৫ রানে ১৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন শেফালি ভর্মা। এরপর ক্রিজে আসা দয়ালন হেমলতাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন স্মৃতি মান্ধানা। ৩৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৬২ রানে ২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হন স্মৃতি। এরপর অধিনায়ক হারমানপ্রীতকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। ৬০ রানের জুটিতে দলকে শক্ত ভীত দেন এই দুই ব্যাটার। তবে দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় ভারত। হারমানপ্রীত ২৪ বলে ৩০ ও হেমলতা ২৮ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রিচা ঘোষ। নির্ধারিত ২০ ওভার ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ পায় ভারত। বাংলাদেশর হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।