নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলছে। ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্রোত বয়ে চলেছে টঙ্গী অভিমুখে। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হয় মোনাজাত। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সময় নিয়ে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে সারা দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের সুরাসদস্য কারি মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের।
মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরের সঙ্গে লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে ‘আমিন’, ‘আমিন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলেন পুরো টঙ্গী। ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো মাইকে সেই ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে তুরাগ নদের চারপাশের এলাকায়। মোনাজাতের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। টঙ্গীর আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকে লাখো কন্ঠের কান্নার ধ্বনি। নানা বয়সী ও পেশার মানুষ, এমনকি নারীরাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিয়ে আল্লাহর দরবারে মনের আকুতি জানিয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন।
ফজরের নামাজের মাধ্যমে শেষ দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা ইসলামের আমল, আকীদা ও দাওয়াত বিষয়ে দেশি-বিদেশি মুরুববীদের বয়ান শুনছেন।
সকালে বয়ান পেশ করেন মাওলানা রবিউল হক।
আখেরী মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকেই লাখো লাখো মুসুল্লী মহাসড়কে পায়ে হেঁটে ও ট্রেনে করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে সমবেত হয়েছেন। বিপুল সংখ্যক নারী মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমার ময়দানের আশেপাশের মহাসড়কে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছেন।
আখেরী মোনাজাত উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মুসুল্লিদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত সুবিধার জন্য ১৩টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আখেরী মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেববেপুর চান্দনা চৌরাস্তা, ঢাকা-সিলেট সড়কের মীরেরবাজার থেকে টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এসব সড়কে আখেরী মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আখেরী মোনাজাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা জোটবদ্ধ হয়ে ইসলামী দাওয়াতি কাজে বের হবেন।