নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন ইবাদত বন্দিগী, তাসকিলে তামিল, ধর্মীয় আলোচনা, তাসবি-তাহলিল আর তাবলীগের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বয়ান চলছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন ভাষায় অবিরাম বয়ান চলছে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা এ বয়ান করছেন।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনে লাখ লাখ মুসল্লি এ বয়ান শুনছেন। তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামীকাল রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
ইজতেমা সূত্রে জানা গেছে, হেদায়েতি বয়ানের পর এদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যেই আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মোনাজাতে সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, মোনাজাতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অংশ নিতে পারেন। আর বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক বয়ান করেন। এদিন সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা, পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদ, ভারতের মাওলানা আহমদ লাট, মাওলানা সানোয়ার বয়ান করবেন। এ ছাড়া পাকিস্তানের মাওলানা ইফতার জামান ইংরেজিতে বয়ান করবেন।
ভারতের মাওলানা ফারুক বাদ জোহর বয়ান করবেন। আর ভারতের মাওলানা যুহাইরুল হাসান বাদ আসর বয়ান করবেন এবং মাওলানা যোবায়ের এই বয়ান অনুবাদ করবেন।
এদিকে দীর্ঘ দুই বছর পর ইজতেমার প্রথম পর্বে টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করা হয়। কাকরাইল মসজিদের খতিব ও তাবলীগের শূরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহৎ এ জামায়াতে ইমামতি করেন। এদিন এ জামাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে সকাল থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে। জুমার নামাজের সময় যত ঘনিয়ে আসে, বাড়তে থাকে মুসল্লির ভিড়।
এর আগে বাদ ফজর উর্দুতে পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ বয়ান বাংলাসহ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করে শুনানো হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মুসল্লিসহ গাজীপুর ও ঢাকার আশপাশের সব জেলার মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
ইজতেমায় মুসুল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৩টি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস ও সড়ক পথে যাতায়াতে বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
ওযু-গোসলের পানি সরবরাহ ও নতুন টয়লেট নির্মাণসহ সার্বিক সুযোগ সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে।