কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: অবকাশকালীন ছুটির সময়ে বিভিন্ন মামলায় বিপুলসংখ্যক আসামির জামিন দেওয়ায় হাইকোর্টের তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যাখ্যা চাওয়া হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেন।
এদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা চূড়ান্ত আপিলে জামায়াতের পক্ষে শুনানি শেষ হয়েছে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, তত্বাবধায়ক সরাকর ফিরে আসলেও এবার কার্যকর হবে না।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলছেন, সম্প্রতি দেশের উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ একদিনে ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছে। একটি বেঞ্চে একদিনে এত মামলার শুনানি কীভাবে সম্ভব- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের উপস্থিতিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আসিফ নজরুল বলেন, আজকে উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে কিছু বিষয়ে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আপনারা জানেন, সাম্প্রতিককালে আপনারা কেউ এটা ইনভেস্টিগেট (অনুসন্ধান) করেননি। আপনাদেরকে অনুরোধ করবো ইনভেস্টিগেট করেন। যে একটা উচ্চ আদালতের একটা বেঞ্চ একদিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। জামিন তিনি দিতেই পারেন। কিন্তু চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ৮০০ মামলা কি শোনা সম্ভব? এটা কি আসলে বিচারিক বিবেচনা ছিল কিনা? এরকম আরও কিছু কিছু প্রসঙ্গ উঠেছে।


