মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের হামনুনের তান্ডবের চিহ্ন এখনো রয়ে গেছে কক্সবাজারে। হাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিলো ভোররাতে আঘাত হানবে কিন্তু সেদিন মধ্যরাতেই আঘাত হানে ঘূর্নিঝড় হামুন। ফলে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়,যার চিহ্ন এখনো রয়ে গেছে কক্সবাজারের উপকূলে।
এরই মধ্যে বুধবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপের পর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এজন্য কক্সবাজারসহ চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোঃ ইমাম উদ্দিন জানান নিম্নচাপটি সর্বোচ্চ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
বৃষ্টি হলে সেটির প্রভাব কমে আসতে পারে। আর সতর্ক সংকেত বাড়লে ঘূর্নিঝড়ের রুপ নিলে সেটির নাম জানা যাবে পরে আমরা গনমাধ্যমেসহ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিবো।
বুধবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২) এ জানানো হয়েছে, মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কি.মি. পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
এছাড়াও নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি., যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।