কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথসহ তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে যৌথভাবে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প তিনটি হলো—আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে। রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ছয় দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন এবং ত্রিপুরায় পাঁচ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার।
সোমবার এই রুটে ট্রায়াল রান হয়েছিল যেখানে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী ট্রেন চলে। অন্যদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান শিগশিরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারতের রেয়াতি লাইন অফ ক্রেডিট দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় এলওসি থেকে ৬৯.১৮ শতাংশ অর্থায়ন)।
প্রায় ৬৪.৭ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ কাজ ৪,২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে যা মোংলা বন্দর সহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সুযোগের সূচনা করবে।
রেল সংযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়েছে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ভারতীয় কনসেশনাল ফিনান্সিং স্কিম লোনের অধীনে নির্মাণ হচ্ছে।
বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসিলি যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে। দুই দেশের দুই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানির সমান অংশীদার। বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে উভয়ের মধ্যে ২০১২ সালের ৩০ আগষ্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর মধ্যে চুক্তি হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ’ কোটি ডলার। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
প্লান্টটি বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ম ইউনিট ও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীগণ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং আজ ইউনিট-২ উদ্বোধন করা হলো।
আরও পড়ুন:
ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হলেন সায়মা ওয়াজেদ
যুবসমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় আনতে সরকার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে: প্রধানমন্ত্রী