বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া শহরের ১০ বছরের মেয়ে সৎ বাবা কতৃক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনা মেয়ের মা শুক্রবার রাতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবাকে আসামী করে থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার বিকেলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় অভিযুক্ত সৎ বাবা মোঃ আশরাফুল আলম (৪০)। সে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ছাট মল্লিকবেগ এলাকার মোঃ আবুল কাসেমের ছেলে।
শনিবার বিকেলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ সুত্রে ও মেয়ের মা জানান, গত একবছর আগে জনৈক স্বামী পরিত্যক্ত নারীর সাথে আশরাফুল আলমের বিয়ে হয় ২০২৩ সালের মাঝামাঝি। আশরাফুল আলম বগুড়া শহরে ফুডকার্টে খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। পরে ব্যবসায় লোকসান হলে সে প্রায় ৬/৭ মাস বসেছিল। এরপর সে বাসায় দেহ ব্যবসা শুরু করে। ঘরে পুরুষ ও নারী ঢুকিয়ে দিয়ে গোপনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করতো এবং তাদের ব্লাকমেইল করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিত। এদিকে আশরাফুল তার সৎ মেয়েকে দিয়ে ব্লাকমেইল করার প্রস্তাব তার মাকে দেয়। এতে সে রাজি হয় না। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আবারও একই প্রস্তাব দেয় আশরাফুল ওর মাকে। এসময় প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে মারপিট করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শরীরে আঘাত পাওয়ায় বাহিরে ঔষধ আনতে যায়। ঘরে সৎ মেয়েকে একা পেয়ে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে আশরাফুল। এসময় ঘরে উপস্থিত মেয়ের চিৎকার শুনে আশরাফুলকে ধাক্কা দিলে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মেয়ের মা বলেন, আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্তা। আমার মেয়েকে কু-কাজে না দেয়ায় আশরাফুল এঘটনা ঘটিয়েছে। পূর্বেও সে এমন প্রস্তাব দিয়েছে। আমি তার শাস্তি চাই।
এবিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন জানান, থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আশরাফুল যেখানে যায় সেখানেই বিয়ে করে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।


