কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কী পয়েন্ট ইন্সটলেশনের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সপ্তাহে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কী পয়েন্ট ইন্সটলেশনের (কেপিআই) নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকার শিগগিরই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে এবং নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ আউটলেটগুলো থেকে নতুন আবেদন নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে যেকোনো ইভেন্টের জন্য অস্থায়ী দৈনিক অ্যাক্সেস কার্ড নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হবে। সরকার অসুবিধার জন্য দুঃখিত এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাস এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাস ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করে সরকার।
এদিকে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেছেন, কিছু লোক সরকারকে কঠোর হতে বলে আবার সামান্যতম কঠোর হলে গেল গেল রব তোলে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া জরুরি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা নিয়ে যথারীতি এই দ্বিচারিতা আবার শুরু হয়েছে। প্রবেশাধিকার সীমিত করার এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাময়িক। সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজস্ব আইডিতে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, একটা বিষয় এখানে পরিষ্কার করা দরকার, কোনো সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাতিল করা হয়নি। কেবল সচিবালয়ের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তা-ও খুবই অল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী পাশ ইস্যু করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিগগিরই বিদ্যমান সব প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডই পর্যালোচনা করা হবে এবং নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন চাওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা এখন ওপেন সিক্রেট, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো। সরকারের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে দালাল ছাড়া কারো শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, এটা সাংবাদিকদের কাজ আরো সহজ করবে। এখন সাময়িক অসুবিধা হলেও চূড়ান্ত বিচারে এটা সবাইকে সহযোগিতা করবে। এজন্যই সবার সহযোগতিা চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ দরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা