মো: বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মোঃ আলমগীর হোসেন কে দুর্নীতির দায়ে ঝালকাঠী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বদলী করা হয়। কিন্তু সরকারি চাকরি বিধিমালা কিংবা কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দু’হাত ঘুরিয়ে সেই দুর্নীতিগ্রস্তকে ফের পটুয়াখালীতে পদায়নের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর ১৩.১০.০০০০.০০০.১৯.০০৪.১৪.১৯৭৭ নং স্মারকে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ পদায়নের আদেশ দেওয়া হয়।
‘সূত্রের দাবী অনুযায়ি, ‘ভয়াবহ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় প্রথমে পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর ১৩.০১.০০০০.০০০.১৯.০০৪.১৪.৫৫৪৩ নং স্মারকে আলমগীর হোসেন কে ঝালকাঠী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছিলো। এরপর মাত্র ৮ মাসের মাথায় ২০২৪ সালের ৪ জুন শূণ্যপদ দেখিয়ে ঝালকাঠী থেকে বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বদলী করা হয়।’ এরপর ৬ মাস না পেরুতেই তাকে ফের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বদলী করা হলো।
সূত্রমতে- ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৩.০১.০০০০.০৩৩.২৭.১৪৫.২৩.৯৬৭ নং স্মারকে আলমগীর হোসেনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ১৩.০১.০০০০.০০০.২৭.১৪০.১৫.৫৭২৬ স্মারকে জবাব দাখিল করেন আলমগীর হোসেন। ওই স্বব্যাখ্যায়িত জবাব পর্যালোচনা করে দাপ্তরিক কর্মকর্তাসহ তার সার্বিক আচরণ মনিটরিংয়ের আওতায় রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তাকে ঝালকাঠী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বদলীর আদেশ দেওয়া হয়।
পটুয়াখালী জেলা খাদ্য বিভাগের ডিলার সমিতির সভাপতি ফোরকান মৃধা বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজকে ফের পটুয়াখালী পদায়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া এই অবৈধ পদায়নের ফলে পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ফের দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আলমগীর হোসেন কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা করেন না। তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে তাকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়। তিনি বলেন, কেনো কর্মস্থল থেকে শাস্তিমূলক বদলী হলে আবার সেই কর্মস্থলে বদলী ক্বিা পদায়নের কোনো বিধান নেই। এ ঘটনা ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
জেলা খাদ্য বিভাগের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই। এছাড়া কোনোকিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আঞ্চলিক কর্মকর্তা বলতে পারবেন। বিষয়টি অবৈধ হলেও সে বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য সঠিক হবে না।
এ বিষয়ে জানতে আঞ্চলিক কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ এর সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।