কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : দেশে প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার আগে এই ব্যক্তি খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলেন। খেজুরের রস থেকে এ সংক্রমণ হয়েছিল। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ তথ্য জানায়।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) শীতকালের সাধারণ রোগবালাই ও নিপাহর সংক্রমণ নিয়ে এক সেমিনারে এ তথ্য জানায়।
আইইডিসিআর জানায়, গত সপ্তাহে রাজশাহীর একজন নারী নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ৩৫ বছর বয়সি ওই নারী আক্রান্ত হওয়ার আগে খেজুরের রস খেয়েছিলেন। বাদুড় নিপাহ ভাইরাসের বাহক। খেজুরের রসে এ ভাইরাস এসেছিল বাদুড় থেকে।
এর আগে ২০২২ সালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তিনটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। যার মধ্যে দুই জন মারা যান।
আইইডিসিআর আয়োজিত ‘শীতের সংক্রামক রোগ এবং নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ’ শীর্ষক সম্মেলন
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, এদেশে বাদুড়ের লালা বা প্রস্রাবের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। মানুষ যখন দূষিত কাঁচা খেজুরের রস পান করে তখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সেই ব্যক্তি থেকে তার পরিবারের সদস্য বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, কাঁচা খেজুরের রস এবং আধা খাওয়া ফল খাওয়া উচিত নয়। আইইডিসিআর জানায়, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৭১ শতাংশ মানুষ মারা যায়। তাই কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেতে রস খাওয়ার পর আট থেকে ৯ দিন সময় লাগে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো ছয় থেকে ১১দিন পরে দেখা যায়। আইইডিসিআর-এর গবেষকদের মতে, খেজুরের রস গরম করার পর পান করা নিরাপদ। গুড়ও নিরাপদ। প্রতিষ্ঠানটি খেজুরের রস সংগ্রহকারীদের রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শও দিয়েছে।