আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। মেঘমুক্ত দিনে উত্তরের হিমশীতল হওয়ায় হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। অগ্রহায়ণের শেষভাগে এসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। গতকাল শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ৮০ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৫ দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৬ ডিগ্রির উপরে।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায়, সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়েছেন দিনমজুর ও শ্রমিকরা। তবে এই ঠান্ডার কারণে কাঙ্ক্ষিত কাজ পাচ্ছেন না তারা। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। যানবাহন চললেও ছিল না তেমন যাত্রীর চাপ। তবে রাতে ঘন কুয়াশা থাকলেও সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে। কিন্তু হিম বাতাসের কারনে রোদের প্রখরতা অনুভূত হচ্ছে না।
এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হয়েছে। আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর আকাশ মেঘলা থাকবে এবং ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রার পারদ কমতে থাকবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গার শীতার্ত মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সরকারের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ১০ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সে সব কম্বল হাতে পাওয়া মাত্রই শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ শুরু হবে।