নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশী ৭৮ জন নাবিকসহ দুই ফিশিং জাহাজ আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ভারতের ওড়িশ্যা রাজ্যের জগৎ সিংহপুর জেলার পারাদ্বীপ শহরে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের মেরিটাইম সিকিউরিটি।
এরমধ্যে ভারতীয় কোস্টগার্ড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সামুদ্রিক নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে ভারতীয় কোস্ট গার্ড (আইসিজি) ভারতীয় জলসীমায় মাছ ধরার কাজে জড়িত দুইটি বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৭৮ জন মৎস্যজীবী কে (জেলে) আটক করেছেন।
ভারতীয় কোস্ট গার্ডের জাহাজ আমোগ টহলরত অবস্থায় ভারত-বাংলাদেশ সামুদ্রিক সীমানা রেখা (IMBL)-এর কাছে সন্দেহজনক কার্যকলাপ চিহ্নিত করে।
গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে ভারতীয় আমোগ জাহাজটি দুইটি বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারকে আটক করেন। জাহাজ দুটি অননুমোদিতভাবে ভারতীয় জলসীমায় মাছ ধরছিলো। ট্রলারগুলো চিহ্নিত করা হয় “এফভি লায়লা-২” এবং “এফভি মেঘনা-৫” নামে, যেগুলো বাংলাদেশে নিবন্ধিত এক জাহাজে ৪১ ও অন্য জাহাজে ৩৭ জন ক্রুসহ মোট ৭৮ জন নাবিক (জেলে) ছিলেন।
সাগরে ট্রলারগুলোতে তল্লাশি চালানো হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চল আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ট্রলারগুলোকে উড়িশ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য।
ভারতীয় কোস্ট গার্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এই অভিযান সমুদ্র নিরাপত্তা, তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদানের প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে, যা সমুদ্রসীমায় অননুমোদিত প্রবেশ/অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ভারতের সামুদ্রিক সীমানার অখণ্ডতা রক্ষা এবং জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্ট গার্ডের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে।
এমনকি ভারতীয় কোস্ট গার্ড ক্রমাগত পরিবর্তনশীল সামুদ্রিক ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যদিকে, জাহাজের মালিক্ষপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর বলছেন, খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সোমবার দুপুরে জাহাজ দুটি ও নাবিকদের ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড।
সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রোর নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, বাংলাদেশের হিরণ পয়েন্টে নৌযান মাছ ধরছিল। সেই সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সোমবার দুপুরে দুটি নৌযানকে ভারতের কোস্ট গার্ডের সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়। এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২ খুলনা বেল্টের হিরণ পয়েন্ট থেকে ভারতের জলসীমায় নিয়ে গেছে।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, ভারতের সমুদ্রসীমার কাছ থেকে জাহাজ দুটি আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। কোস্ট গার্ডসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, দুটি নৌযান ভারতের কোস্ট গার্ড নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে