আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: নিয়োগে দুর্নীতিসহ মোবারকগঞ্জ চিনিকলের নানা সংকট নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহের বৃহৎ শিল্প কারখানা কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ (মোচিক) চিনিকলে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা মোচিক ক্যাম্পাসে প্রবেশের কথা শুনেই পালিয়ে যান মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে স্থাপিত দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকলটি অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রতি বছর লোকসানের বোঝা টানছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবৈধ ভাবে ১৩৭ জন শ্রমিক নিয়োগের খবর প্রকাশিত হলে চিনিকল অফিসে যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে ছাত্ররা যাওয়ার আগেই চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর চিনিকলটির অর্থ বিভাগের ব্যবস্থাপক হিরন্ময় বিশ্বাসের সাথে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। মুঠোফোনে ছাত্ররা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অফিসে আসার অনুরোধ জানালে তিনি আসতে অস্বীকৃতি জানান। প্রায় ১ ঘন্টা অফিসে অবস্থান করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ফিরে আসেন।
ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক হুসাইন আহমেদ জানান, দক্ষিণবঙ্গের একটি বড় প্রতিষ্ঠান আমাদের এই সুগার মিল। বছরের পর বছর এই চিনিকলে শুধু লোকসানই দেখানো হয়। একটা অবৈধ নিয়োগ নিয়ে চিনিকলে পক্ষে-বিপক্ষে দ্ব›দ্ব চলছে। ৫ আগস্টের পর সারাদেশে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু এই চিনিকলে সংস্কারের কোন ছোঁয়াই লাগেনি। মিলের এমডি আগেও যেভাবে কাজ করেছেন এখনও সেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না। সুগার মিলের এমডি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল এই মিলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, মিলটি যাতে ভালোভাবে চলে এসব বিষয়ে কথা বলতে এমডির সাথে কথা বলতে আমরা তার অফিসে আসি। কিন্তু আমাদের আসার খবর পেয়ে এমডি পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম জানান, তিনি পালিয়ে যাননি, বরং একটা মিটিংয়ে ছিলেন। এজন্য তাদের সাথে দেখা করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
৪৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সমাধান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেহেদী আটক
রাতের আঁধারে নিয়োগ অবৈধ ১৩৭: মোবারকগঞ্জ চিনিকল ছাত্রলীগ-যুবলীগ পুনর্ববাসন কেন্দ্র!