ময়মনসিংহ ব্যুরো: ময়মনসিংহ নগরীর নওমহল এলাকায় নির্মানাধীন ভবনের ফোরম্যান রমজান আলী (২৪) হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসাথে হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী আমিনুর ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে হত্যাকারী আমিনুর ইসলামকে নরসিংদী জেলা সদরের শাহেপ্রতাপ মোড় এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সপার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল রশিদ।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আমিনুর জানায়, গত অক্টোবর মাসে সে রংপুর থেকে ময়মনসিংহে এসে এই ভবনে রডমিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করার জন্য তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরকে সে সাথে নিয়ে আসে। প্রথম দুই সপ্তাহ তাদেরকে নিয়মিত পারিশ্রমিক প্রদান করা হলেও বিগত প্রায় দেড়মাস যাবৎ তারা নিয়মিত পারিশ্রমিক পাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তার শশুর ও চাচা শশুর পারিশ্রমিক না নিয়েই গ্রামের বাড়ি ফিরে যায়। এতে শ্বশুড় বাড়ির স্বজনদের কাছে আমিনুরের সম্মানহানি হয়।
এই কারণে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে নিহত রমজানের সাথে আমিনুরের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রমজান তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমিনুর উত্তেজিত হয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা লোহার রড দিয়ে রমজানের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে সে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রথমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং অবশেষে নরসিংদী অবস্থান করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ মোবাইল ফোন ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নির্মাণাধীন ভবনে রডমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত আমিনুর ইসলামকে সনাক্ত করে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আরো জানায় আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।