January 29, 2025 - 8:45 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeজাতীয়আজ শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস

আজ শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস

spot_img


শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: আজ ৭ ডিসেম্বর শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করেন। এদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টার যোগে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন।

ওই সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে এক সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওইসময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, ৭ মার্চ স্বাধীনতা ডাক দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানের মত শেরপুরবাসী পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়। স্বাধীনতাকামী ছাত্রজনতা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করার দৃঢ় প্রত্যয়ে দৃপ্ত হয়।

এদিকে ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক মর্টারশেলিং এর মাধ্যমে শেরপুর শহরে শনিবিগ্রহ মন্দিরের পূরোহিতকে গুলি করে হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। পাক সেনারা স্থানীয় দালালদের সহায়তায় শহরের দোকান-পাট লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দখল ও নির্মমভাবে হত্যাসহ ধর্ষণ প্রভৃতি অত্যাচার চালায়।

১১নং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহায়তায় লড়াই চালিয়ে আসছিল এবং ২৪ অক্টোবর কামালপুর অবরোধ শুরু হয়। এছাড়াও ওই আক্রমণের রণ-কৌশল ছিল ভিন্ন ধরনের। ১৩ নভেম্বর কর্নেল তাহের কামালপুরের উপর পূর্ণ আক্রমণের নির্দেশ দেন। কারণ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ১১নং সেক্টরের মূল পরিকল্পনা ছিল কামালপুর, শেরপুর, জামালপুর এবং টাঙ্গাইলের ওপর ক্রমানুযায়ী আক্রমণের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া, যাতে করে ঢাকায় চূড়ান্ত আঘাত হানা যায়।

১৪ নভেম্বর ভোরে আবার যুদ্ধ শুরু হলে শেরপুর-বকশীগঞ্জ সড়কের মাঝপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে দুই প্লাটুন সৈন্যসহ পাকবাহিনীর মেজর আইয়ুব আহত হন। এদিন বিজয়ের মাঝামাঝি সময়ে তুমুল সম্মুখযুদ্ধে পাকসেনাদের কামানের গোলার আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের আহত হয়ে একটি পা হারান। ২৪ নভেম্বর শেরপুর সদর থানার কামারিয়া ইউনিয়নের সুর্যদী গ্রামে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহত অবরোধের মুখে ৪ ডিসেম্বর কামালপুর ঘাঁটির পাক সেনারা আত্মসর্মপণ করে। এদিকে কামালপুর দুর্গ পতনের পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর শালচূড়া ক্যাম্প ও আহাম্মদনগর ঘাটির পাকসেনারা পিছু হটতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে শেরপুর থেকে পিছু হটে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে গিয়ে জমায়েত হয়। এভাবে রাতের আধাঁরে শেরপুর পাকবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় এবং ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শেরপুর মুক্ত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

মুনাফা থেকে বড় লোকসানে বেক্সিমকো

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড চলতি ২০২৪-২০২৫ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আলোচ্য হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬...

শেরপুরে চোর চক্রের ১০ সদস্য আটক, ৫৫টি মোবাইল উদ্ধার

মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলা শহরের রঘুনাথ বাজারের কোরাইশী কমপ্লেক্সে মোবাইল ফোনের দোকানে চুরি করে পালানোর সময় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ১০...

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না: হাইকোর্টের রায়

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: গাছ কাটতে অনুমতি লাগবে বলে এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে গ্রাম পর্যায়ে ব্যক্তি মালিকানার গাছ কাটতে অনুমতি লাগবে না বলে...

দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা: গভর্নর

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, তারা দুর্বল ব্যাংক থেকে তাদের টাকা ফেরত পাবেন। তিনি...

ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ, হতাশায় ব্যবসায়ীরা

‍মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: ফেব্রুয়ারী থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন যাত্রা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারী মাস থেকে...

অষ্টম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

স্পোর্টস ডেস্ক: ৭০ জন গলফার নিয়ে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘অষ্টম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৫’ গত শনিবার শেষ হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় ঘাটাইল সেনানিবাস এলাকা ছাড়াও...