বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর মিজার্গঞ্জের বৌদ্দা জামালবাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ধান কাটার মৌসুম এলেই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক আজিজ মৃধার ধান লুটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৩০ নভেম্বর সকাল পৌনে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শি স্থানীয়রা জানান- ‘আনছার হাওলাদারের পুত্র তরিকুল হাওলাদার ও হাসিব হাওলাদারের নেতৃত্বে ‘বৌদ্দা জামাল’ বাহিনীর লুটেরাচক্রের সহযোগী বদরুদ্দীন জামাল হাওলাদার ওরফে বৌদ্দা জামালের পুত্র কালাম হাওলাদার, হাসেম হাওলাদরের পুত্র সুলতান হাওলাদার, হোসেন হাওলাদারের পুত্র জব্বার হাওলাদার এবং কাদের মোল্লা সহ ১০/১২জনের সংঘবদ্ধ চক্র খড়কুটা সহ ১৬ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ফজরের আজানের পরপরই ধান কাটা শুরু করে ওই চক্রটি। এরপর সকাল পৌনে ৬টার মধ্যে কাটা শেষ করে আটি বেঁধে ধান নিয়ে যাওয়া হয়।’
স্থানীয় প্রত্যক্ষ্যদর্শি আইউব আলী সিকদার, শামসূল হক ঘরামী, আনছার মৃধা, রশীদ হাওলাদার, বাবুল খান, লুৎফর ফরাজী, আবদুল হালিম হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য জব্বার হাওলাদার, নজরুল সিকদার এবং আবদুল হালিম হাওলাদার সহ অনেকেই বলেন- ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে বদরুদ্দীন জামাল হাওলাদার ওরফে বৌদ্দা জামালের পুত্র কালাম হাওলাদার, হাসেম হাওলাদরের পুত্র সুলতান হাওলাদার, হোসেন হাওলাদারের পুত্র জব্বার হাওলাদার এবং কাদের মোল্লা সহ ১০/১২জনের সংঘবদ্ধ চক্র খড়কুটা সহ ১৬ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়ে যায়।’ তারা দাবী করেন- ‘এই চক্রটি কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না। লুট, চুরি সহ সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে জড়িত এই চক্রটি’। ধান লুটের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করা ওই সন্ত্রাসীচক্রের ভয়ে কেউ বাঁধা দিতে সাহস পায়নি। তারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ভুুক্তভোগী কৃষক আজিজ মৃধা জানান, ‘বিষয়টি ২নং মিজার্গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য আল মামুন হাওলাদারকে অবহিত করা হয়েছে। তারা ওই অপকর্মকারীদেও বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। একারণে প্রতিকার পেতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।