নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন কে ১৮ দিন আগে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হলেও তিনি এখনও কর্ণফুলীতে অবস্থান করছেন। বদলির নির্দেশ অমান্য করে দায়িত্বে বহাল থাকায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২ শাখার প্রজ্ঞাপনে তাঁকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। অথচ এর আগেই, কর্ণফুলীতে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় ওসি মনিরের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে-কর্ণফুলীতে পিতা হত্যার ঘটনায় তড়িঘড়ি করে দুই ভাইয়ের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি আদায়, আসামিদের জব্দকৃত জিনিসপত্রও টাকা পয়সা নিয়ে নানা প্রশ্ন, সেভেন রিং সিমেন্ট কারখানার সামনে মানববন্ধন ঠেকাতে ব্যর্থতা, জুলধা এলাকায় তেল চোরাকারবারীদের আধিপত্য এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া, বিএনপি নেতার জাহাজ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড, গত দুই মাসে আইনশৃঙ্খলার চরমঅবনতিসহ একাধিক কর্মকাণ্ড স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বদলির নির্দেশ পাওয়ার পরও ওসি মনির কর্ণফুলীতে থাকতে মরিয়া। এজন্য তিনি ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তর এবং সিএমপি সদর দপ্তরে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমেও তাঁর বদলি ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, অনেক পুলিশ কর্মকর্তা বদলির আদেশ পরিবর্তনের জন্য নানা অজুহাত দেখান। কিন্তু এটি প্রশাসনিক নিয়মের বাইরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ মনির হোসেন কে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিনিভ করেননি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বদলি পদায়ন কমন বিষয়। হয়তো নতুন ওসি পদায়ন হয়নি তাই রয়েছেন। বদলি যেহেতু হয়েছে নিশ্চিয় নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর পুলিশের কাফরুল থানায় ইন্সপেক্টর (অপারেশন) হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ একাধিক থানায় ওসি মনিরের কর্মজীবন রয়েছে। কর্ণফুলী থানায় দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন। তাঁর নিজ জেলা চাঁদপুর জেলার কচুয়া।