নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে খাবারের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাওয়ে অজ্ঞান করে চুরি করার সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য রুস্তমকে (৫৩) স্থানীয় জনতা গনধোলাই দিয়ে পুলিশে দেন। এ সময় পালিয়ে যায় চোর চক্রের অপর ৩ সদস্য। আটককৃত চোর রুস্তম মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মিরহাটাইল গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত ২ টার দিকে উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর নয়াবাড়ী গ্রামের মৃত.ছাত্তার মিয়ার ছেলে ইস্রাফিলের বাড়ী এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি দিনের কোন এক সময় সুকৌশলে রান্না ঘরে থাকা মসলা ও লবনের মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়। সেই মসলা ও লবন দিয়ে রান্না করা খাবার খেয়ে পরিবারের লোকজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে টাকা পয়সা স্বর্নালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নেয়। তারই ধারাবাহিকতা রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে জনৈক আব্দুল কাশেমের পরিবারে দু,জন অজ্ঞান করে ও দু,জনের হাত-পা বেঁধে বাড়ির মূল্যবান জিনিস চুরি করে নেয়। একই সময় পাশেই ইস্রাফিলের বাড়িতে চুরি করতে গেলে স্থানীয় পাহারাদাররা হাতে নাতে একজনকে আটক করে গণধোলাই দেন। এসময় সংঘবদ্ধ চোরের ৩ সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চোরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে আসেন।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ঐ গ্রামের রনির বাড়ির ৭ জন, রসুন আলীর ৪ জন, ১ নভেম্বর মালেকের ৫ জন, আজাদের বাড়ির ৪ জন, বরকতের বাড়ির ৫ জন, ছত্তার আলী খানের বাড়ির ৫ জন, ইস্রাফিলের বাড়ির ৪ জনকে চেতনানাশক ঔষধ খাওয়ে অজ্ঞান করে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জাহিদুল ইসলাম জানান, আটককৃত রুস্তমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।