October 7, 2024 - 9:21 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশচুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজ পাখিভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজ পাখিভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার

spot_img

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: নিজের ব্যাটারি চালিত পাখিভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন আলমগীর হোসেন (৪০)। দিনের বেলায় কমবেশি ভাড়া মারলেও রাত ৮টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত পাখিভ্যান দিয়ে ভাড়া মারতেন তিনি। গেল বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বাড়ি থেকে নিজের ব্যাটারি চালিত পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় আলমগীর হোসেন। বাড়ি না ফেরায় তাকে অনেক খোঁজা-খুঁজি করে পরিবারের আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামের লোকজন। এ ঘটনার পরদিন আলমগীর হোসেনের ভাই জহুরুল ইসলাম আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে পাশ্ববর্তী গ্রামের ভাইমারা খালের ভিতর কচুরিপানার নীচ থেকে আলমগীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার আলমগীর হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরী করার পর আমাদের একাধিক টিম আলমগীর হোসেনকে খুজতে থাকি। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর আজ ভোরে চিৎলা ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী গ্রামের ভাইমারা খালের ভিতর কঁচুরিপানার নীচ থেকে তার মরহেদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহতের গলাই দঁড়ি বেধে তাকে স্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিলো পাখভ্যান ছিনতাই। আলমগীর হোসেনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন।

নিহত আলমগীর হোসেনের ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, অনেক খোঁজা-খুঁজির পর আজ শুক্রবার ভোরে ভাইরামা খালের ধারে এক জোড়া স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে আমার সন্দেহ হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারাও সেখানে খুঁজতে থাকে। কিছুক্ষণ পর আমার ভাইয়ের পরনের জামা পাশ্ববর্তী মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয় আশপশেয় কোথাও আমার ভাইকে পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে পুলিশের টিম পাশ্ববর্তী ভাইমারা খালের ভিতর খোঁজা-খুঁজির পর আমার ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন। নিহত আলমগীর হোসেন দুই সন্তানের জনক ছিলেন। ছেলে তানজিল হোসেন সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে এক বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। চার বছর বয়সী একমাত্র কন্যা তাসফিয়াকে নিয়ে সুখেই ছিলো তাদের সংসার। স্বামীকে হারিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাসলিমা খাতুনের। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ