মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি : পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের দিঘা চালিতাবাড়িয়া গ্রামের কয়েকটি পরিবার দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় দিনরাত পার করছে। জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পানিবন্ধিরা।
জানা যায়, এ এলাকায় নতুন নতুন বাড়ি নির্মাণ হলেও কোন ড্রেনেজের ব্যবস্থা না করায় বৃষ্টির পানি বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই। পানিবন্দি থাকায় পানিবাহিত নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার নারী-পুরুষসহ ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। সংকট দেখা দিয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানির। পানিবন্দি অসহায় মানুষেরা হাঁটু পানির ভেতরেই বসবাস করতে হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা হুমায়ন কবির মিরাজ বলেন, ঘরের বারান্দা পর্যন্ত প্রায় পানি উঠে গেছে। রান্নার চুলা এখন পানির নিচে ডুবে থাকায় রান্না করতে পারছি না। অনেক দিন যাবত পানিবন্দি থাকলেও জনপ্রতিপ্রতিনিধিসহ প্রশাসন আজোও কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
শহিদুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, নিজেরা দুই বেলা খেতে পারলেও গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদে আছি। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার ঘাস নেই। বাড়তি দামে কিছু ঘাস কিনে গরু-ছাগলকে খেতে দিচ্ছি। আমাদের খবর কেউ নিচ্ছে না, সেই সাথে সাপের ভয়েও ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, এ পাড়ায় কয়েক বছরে নতুন নতুন অনেক বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। লোকজনের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান হলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এ এলাকাটি পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনে আজ শনিবার সকালে এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। সার্বিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে অবহিত করবো।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান জানান, পানিবন্ধির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে পানি নিস্কাশনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।