মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: বিয়ের এক মাসও হয়নি। নববধূ হিসেবে ১২দিন সংসার করা হয়েছে স্বামীর বাড়িতে। বাকী কয়েকটা দিন কাটছিল বাবার বাড়িতেই। গার্মেন্টকর্মী স্বামী বাড়ি আসবেন শোনেই আত্মহত্যা করলেন সুমী আক্তার নামে ওই নববধূ।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টম্বর) বিকেলে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চকবন্দী গ্রামে বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সুমী আক্তার ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট পারিবারিকভাবে সুমী আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী বারারচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে গার্মেন্টকর্মী আল আমিনের সঙ্গে। বিয়ের পর ১২ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিল সুমী। স্বামী ঢাকায় চলে যাওয়ার পর বাবার বাড়ি চলে আসে সে। শুক্রবার স্বামী আল আমিন ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার কথা ছিল। এর আগেই রহস্যজনক কারণে সুমী তার বাবার বাড়িতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন তাকে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
সুমীর বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকে সুমী কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করত। জামাই আসার কথা ছিল। এর আগেই কেন আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।