সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের চৌবাড়ীয়া বিদ্যালয় থেকে পাকা রাস্তা পর্যন্ত চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা। ভোগান্তিতে গ্রামের হাজার মানুষ।
চৌবাড়ীয়া পাকা রাস্তা থেকে চৌবাড়ীয়া বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় চার’শ মিটার কাঁচা রাস্তাটি এখনো পাকা হয়নি। ওই রাস্তাটি দিয়ে হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি দেখে মনে হয় হাল চাষ করার জমি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাদ্রাসা, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারী এবং মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার, প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করণের জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি। তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলতাব হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যায়। এছাড়াও পাশের মাঠের সব ফসল এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি নিতে হয়। এই রাস্তা দিয়েই কৃষি পণ্য বাজারজাত করা হয়। আমাদের এ কষ্ট কবে দূর হবে তার কোনো ঠিক নেই।
চৌবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। জরুরি সেবার কোনো গাড়ি বা যেকোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। হিন্দু বা মুসলিম কেউ মারা গেলে কাদার কারণে সৎকার, দাফন-কাফনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। অতি প্রাচীন রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি।
বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহার ছিল এই রাস্তাটি করে দেওয়া। তবে এখনো করে দিতে পারিনি। মাত্র চার’শ মিটার রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় দীর্ঘদিন দূর্ভোগে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী এই রাস্তা দিয়েই মাঠ থেকে জমির ফসল ঘরে তোলেন। এ ছাড়াও স্থানীয় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা করতে যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীকে। জনদূর্ভোগ ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে রাস্তাটি পাকা করা প্রয়োজন। তিনি রাস্তাটি পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।