আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাচনী সমাবেশ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নির্বাচনী এক জনসভায় অংশ নিয়ে বক্তৃতা দেয়ার সময় ডান কানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এতে তার কান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। গুলির ঘটনার পরপরই জনসভায় আগত ব্যক্তিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর রয়টার্স।
সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় দূরবর্তী একটি ভবনের ছাদ থেকে তার ওপর স্নাইপার হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। এছাড়া জনসভায় গুলির ঘটনায় আরও একজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
সিএনএন, নিউইয়র্ক পোস্ট, বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে রোববার (১৪ জুলাই) নিশ্চিত হওয়া গেছে ঘটনার ব্যাপারে। পাওয়া গেছে ঘটনার বেশ কয়েকটি ফুটেজও।
সিক্রেট সার্ভিস টিম জানিয়েছে, ট্রাম্প নিরাপদ আছেন। প্রচারণার একজন মুখপাত্রও বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তিনি সুস্থ আছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরে বাটলারে আয়োজিত ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে অন্তত ৯টি গুলির শব্দ শোনা গেছে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা তাকে ঘিরে রেখে দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেন। তবে সমাবেশে দর্শকের ভিড়ে থাকা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলাকারীকেও গুলি করে হত্যা করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
আইন প্রয়োগকারী সূত্র, প্রত্যক্ষদর্শী এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও অনুসারে, প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায় যে সমাবেশের বাইরে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে একজন স্নাইপার ট্রাম্পকে টার্গেট করেছিলেন।
একজন ট্রাম্প সমর্থক বিবিসিকে জানিয়েছেন, সমাবেশের নিরাপত্তা ঘেরের বাইরে একটি ভবনের ছাদে রাইফেল সজ্জিত একজন স্নাইপারকে দেখেছেন তিনি। লোকটিকে গুলি চালাতে দেখেছিলেন আরও কয়েকজন ব্যক্তি। সমাবেশের বাইরে একটি ভবনে পার্টি করছিলেন তারা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া এক ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে, বন্দুকধারী একটি গুদামের ছাদে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।
ঘটনার পর সিক্রেট সার্ভিসের একজন মুখপাত্র এক এক্স পোস্টে বলেন, ‘সিক্রেট সার্ভিস প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন নিরাপদে আছেন। সিক্রেট সার্ভিস এ ঘটনার তদন্ত করবে এবং আরও তথ্য পাওয়া গেলে প্রকাশ করা হবে।’
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এক্সে তার বাবার আহত মুষ্টিবদ্ধ একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমেরিকাকে রক্ষার লড়াইয়ে তিনি কখনো থামবেন না।’