October 8, 2024 - 5:34 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআইন-আদালতশেরপুরে গৃহবধূ আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী মূলহোতা গ্রেপ্তার

শেরপুরে গৃহবধূ আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী মূলহোতা গ্রেপ্তার

spot_img

মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদীতে পারিবারিক কলহের জেরে মালতী আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী প্রধান আসামি তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রোববার (২৩ জুন) জামালপুরের ইসলামপুর থানার ধনতলা বেলগাছা এলাকা হতে তোফাজ্জেল হোসেনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব ১৪ (সিপিসি- ১)।

জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তোফাজ্জেল হোসেন শ্রীবরদীর খারামোড়া পশ্চিম পাড়ার গুডেলু মিয়ার ছেলে।

র‍্যাব জানায়, রহিমা খাতুন ওরফে মালতী (৪১) কে অনুমান ২৫বছর আগে একই উপজেলার ছনকান্দা গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল সালাম ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক বিয়ে করেন। রহিমা খাতুন ওরফে মালতীর স্বামী আব্দুস সালাম দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে চার বছর আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর মালতী সংসারের তাগিদে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। চাকুরির সুবাদে তোফাজ্জেল হোসেন (৪৫)র সাথে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা ঢাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করত। ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে তোফাজ্জল ধান কাটার কথা বলে নিজ বাড়িতে আসে। এরপর মালতীর খোঁজখবর রাখে না। মালতী তার বড় বোন আসমা আক্তারের বাড়িতে আসে এবং বিষয়টি আলোচনা করে। গত ১৭ মে রাতে মালতী স্বামীর পরিচয় দেয়া তোফাজ্জলের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বোনের বাড়ি হতে বের হন। এরপর মালতী কথিত স্বামীর বাড়িতে গিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য বলে। কিন্তু তোফাজ্জল বিয়ের ব্যপারে অস্বীকার করে। তোফাজ্জেল হোসেন ও তার স্বজন খলেদা বেগম মিলে মালতীকে গালিগালিজ ও মারধর করে। একপর্যায়ে মালতীকে তারা বের করে দেয়। মালতীর সাথে প্রেম ভালোবাসা করার পরেও বিয়েতে অস্বীকার করায় কারণে মনের ক্ষোভে শ্রীরবদীর ছোট বালিজুরীর বনবিভাগের সরকারী খাস জমিতে জাম্বুরা গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস দেয়। এবং মালতী মারা যায়। খবর পেয়ে নিহতের স্বজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহতের ওড়নার আচলে বাধা অবস্থায় একটি চিরকুট পায় পুলিশ। চিরকুটে মৃত্যুর বিষয়ে যাবতীয় ঘটনা লেখা আছে। পরে নিহতের পিতা আহাম্মদ আলী ১৮ মে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর হতে মামলার প্রধান আসামী মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।

পরে র‌্যাব-১৪ (সিপিসি-১) জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ২৩ জুন জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার ধনতলা বেলগাছা এলাকা হতে তোফাজ্জেল হোসেনকে গ্রেফতার করে।

জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান৷ র‍্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র‍্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মতো অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র‍্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আর মালতী নিহতের ঘটনায় আসামী তোফাজ্জলকে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ