October 7, 2024 - 1:18 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeজাতীয়ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯

ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯

spot_img

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে সারা দেশে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫৪৪ জন। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৪ জন নিহত হয়েছেন।

এই সময়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ৩১২টি দুর্ঘটনায় ৩৪০ জন নিহত এবং ৫৬৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রেলপথে ২৫টি ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হন এবং নৌপথে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ১৫ জন আহত ও ৬ জন নিখোঁজ হন।

শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকার পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

মোজাম্মেল হক জানান, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেলের অবস্থান থাকলেও এবারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পশুবাহী যানবাহনের ব্যাপক চলাচল ও ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের অবাধ চলাচলের কারণে এবারের ঈদে দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে ট্রাক-পিকআপ-কভার্ডভ্যান।

তিনি আরো বলেন, এবারের ঈদে ৮৮টি ট্রাক-পিকআপ-কভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১৯৩ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর সাথে পাল্লা দিয়ে ৯১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৪ জন নিহত ও ৭৭ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৮৫ শতাংশ।

ঈদযাত্রার দিন ২২ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার ৬ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনের তথ্য দিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল। জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতি বছর ঈদযাত্রায় এমন প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে ৮২ জন চালক, নয়জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৫ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৫ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী রয়েছে।

সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ মোটরসাইকেল, .০৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ ব্যাটারিরিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাস, ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ, ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা ও ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ সিএনজি অটোরিকশা এসব দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল, বলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন।

এদিকে দুর্ঘটনার বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি।

সেগুলো হলো-

ঈদের ৩ দিন আগে থেকে জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য।

মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের অবাধে চলাচল।

অতিরিক্ত গতি, মহাসড়কের নির্মান ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।

উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।

অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন।

দ্রুতগতির বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধীরগতির পত্রবাহী ট্রাক পিকআপ চলাচল।

সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, সমাজকর্মী মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ