বাংলাদেশে সামাজিক মূল্যবোধ শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে। খুন, ধর্ষণ, ঘুষ এখন যে ডাল ভাত হয়ে গেছে। গত রোববারের দৈনিক পত্রিকায়, দুই বোনকে ২০ দিন আটকে ধর্ষণ, ধর্ষনের অভিযোগে নৌপুলিশ আটক, শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা, বাবার আত্নহত্যা, ঘুষের টাকাসহ এক এসআই ও এক নারী আটক, দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে পিআইকে তলব করে জেলা প্রশাসকের তিরস্কার, ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে অর্ধলক্ষ হাজার কোটি টাকা পাওনা, বাড্ডায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার প্রভৃতি। এমনকি ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যাচ্ছে না কন্যাশিশু ও বৃদ্ধ নারীরাও। এমনকি রেহাই পাচ্ছে না বাক বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরাও। শুধু তাই নয়, ধর্ষণ শেষে নির্মম নির্যাতন, এমনকি চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটছে।
সংবাদপত্র খুললেই, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, জনগনের টাকা লুণ্ঠন এসবই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন হচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইনে সকল অপরাধীর না হলেও অনেক অপরাধীরা সাজা হচ্ছে কিন্তু তারপরও অপরাধ হয়েই চলছে। এসব অপরাধ আগেও ছিল কিন্তু এরকম মহামারি আকারে কখনোই ছিল না। পাকিস্তানি আমলে একটা জেলা শহরে একটা খুন হলে পুরো জেল কেঁপে যেত। কিন্তু এখন খুন ও ধর্ষণ এগুলো যে নিত্য ব্যাপার হয়ে গেছে। এর একটা বড় কারণ সমাজ ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটছে। আধা সামন্ততান্ত্রিক আধা পুঁজিবাদী সমাজ থেকে পুরো পুঁজিবাদের দিকে যাচ্ছে সমাজ।
এক শ্রেণীর মানুষ আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে আর এক শ্রেণীর মানুষ নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছে এর থেকেই সামজিক অস্থিরতার জন্ম হচ্ছে। পারিবারিক বন্ধন সামাজিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে না পারলে এগুলো চলতেই থাকবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্র এবং সমাজ বিজ্ঞানীদের ভাবতে হবে। এছাড়া ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।