নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালী বদরপুর ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে থাকা কুখ্যাত খুনী মোঃ অলিউল্লাহ হাওলাদার’কে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন কাশীপুর এলাকা হতে ৩০ ডিসেম্বর রাতে পটুয়াখালী বদরপুর ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার ০১ বছর ০৬ মাস আত্মগোপনে থাকা কুখ্যাত খুনী মোঃ অলিউল্লাহ হাওলাদার (২৮), পিতা-মোঃ সুলতান মাহমুদ, সাং-খলিশাখালী, মিঠাপুর, থানা-পটুয়াখালী সদর, জেলা-পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ, বিজিবিএম, পিবিজিএম, পিএসসি।
অধিনায়ক জানান, নিহত ইব্রাহিম হোসেন @ ফয়সাল পটুয়াখালী বদরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করত। ধৃত আসামী অলিউল্লাহ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত ২৯/০৭/২০২১ তারিখ ফয়সালের মোটর সাইকেলটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বরিশাল গমনের কথা বলে ভাড়া করে। ভাড়ার চুক্তি অনুযায়ী ফয়সাল বরিশালের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে। মূলত ধৃত অলিউল্লাহ একজন ছিনতাইকারী দলের নেতা। ধৃত আসামী অলিউল্লাহর পরিকল্পনা মোতাবেক তার দলের অন্যান্য সহযোগীরা ফয়সালের যাত্রাপথে তাদের নির্ধারিত স্থানে অপেক্ষা করতে থাকে। তারা উক্ত স্থানে ফয়সালের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে তার মোটর সাইকেল, টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ভিকটিম তাদের কাজে বাধাঁ দিলে ধৃত অলিউল্লাহসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে ভিকটিম ফয়সালের পেটে, পিঠে এবং বুকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে। ধারালো অস্ত্র দ্বারা জখম করায় ভিকটিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরবর্তীতে ফয়সালের পরিবার ৩০/০৭/২০২১ তারিখ একজনকে মূল আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনসহ পটুয়াখালী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী সুজন হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সুজন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মোঃ অলিউল্লাহ হাওলাদার এর নাম উল্লেখ করেন। এছাড়াও সে জানায় অলিউল্লাহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রদ্বারা পিঠে ও বুকে এলোপাতাড়ীভাবে কুপিয়ে ভিকটিম ফয়সালকে হত্যা করে।
অধিনায়ক আরও জানান, ধৃত অলিউল্লাহ তার কৃতকর্মের বিষয়টি শিকার করে এবং ঘটনার পর থেকেই সে দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে থেকে পলাতক জীবনযাপন করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।