আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ব আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রিটিশ টিইউআই এয়ারওয়েজের একটি বিমানের চাকা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটি গাম্বিয়া থেকে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে গিয়েছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ওই ব্যক্তি চাকায় চড়ে ইউরোপে যেতে চেয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ডিসেম্বরের শুরুতে এবং ওই ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায় লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে।
বিমানের চাকা থেকে মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে এক বিবৃতিতে গাম্বিয়ার সরকারি মুখপাত্র ইব্রিমা জি.সানকারেহ বলেছেন, ‘ব্রিটিশ টিইউআই এয়ারওয়েজের একটি বিমানের চাকায় অজ্ঞাত কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে— বিমানটি গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুল থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে গিয়েছিল।’
তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে গত ৫ ডিসেম্বর এবং গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের সাসেক্স মেট্রোপলিটন পুলিশ গাম্বিয়াকে এ বিষয়ে অবহিত করে।
গাম্বিয়ার সরকারি মুখপাত্র ইব্রিমা জি.সানকারেহ আরও বলেছেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত পুরুষ ব্যক্তির দেহ বিমানের চাকার ভেতরের অংশে পাওয়া যায়। তার কোন পরিচয়, জানা সম্ভব হয়নি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন যুক্তরাজ্যের পুলিশের সঙ্গে কাজ করছেন গাম্বিয়ার কর্মকর্তারা। উদ্ধারকৃত ব্যক্তির মরদেহ একটি মর্গে রাখা হয়েছে এবং ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে এর আগেও অনেকে বিমানের চাকায় চড়ে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে তাদের সবাইকে বরণ করতে হয়েছে করুণ পরিণতি।
২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিমানবন্দরের কর্মীরা আফ্রিকা থেকে যাওয়া বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছিলেন। চলতি বছরের নভেম্বরেই নাইজেরিয়ার তিনজন ব্যক্তি ১১ দিন জাহাজের হালে বসে ইউরোপে যান। তবে তাদের ভাগ্য ভালো থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
মরক্কোভিক্তিক সংস্থা পলিসি সেন্টার ফর দ্য নিউ সাউথের জেষ্ঠ্য ফেলো রিদা লায়ম্মোরি বলেছেন, ‘এ ধরণের ঘটনা দেখাচ্ছে অভিবাসনের জন্য মানুষ কতটা ঝুঁকি নিতে পারেন। করুণ পরিণতি বরণের ঝুঁকি থাকলেও সাধারণ মানুষ এ ধরণের চেষ্টা থেকে বিরত থাকবেন না। তাই আমরা সামনেও দেখতে পাব অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর এবং সাহারা মরুভূমিতে প্রাণ হারাচ্ছেন।
সূত্র: এবিসি নিউজ।