স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নবম আসরে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠলো রংপুর রাইডার্স। এতে প্লে-অফে কোয়ালিফাইয়ারে খেলার দৌঁড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো রংপুর।
১১ ম্যাচ শেষে ৮টি জয় ও ৩টি হারে ১৬ পয়েন্ট রংপুরের। একই অবস্থা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরও। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রংপুর। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থস্থানে ফরচুন বরিশাল। লিগ পর্বে রংপুর-কুমিল্লা ও বরিশালের ১টি করে ম্যাচ রয়েছে। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে সিলেট। প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যে প্লে-অফে কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত করেছে সিলেট।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জিয়াউর রহমান।
ব্যাট হাতে নেমে রংপুরের বোলারদের সামনে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি চট্টগ্রামের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা। নবম ওভারে ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। পাকিস্তানী উসমান খান ২, নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও’ডাউড ১১, মেহেদি মারুফ ৪, আফিফ হোসেন ১৫ ও আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার ৩ রান করে ফিরেন। পাকিস্তানী হারিস রউফ ২টি উইকেট নেন।
দলকে চাপমুক্ত করতে সাত নম্বরে ব্যাট হাতে ক্রিজে এসেই রংপুরের বোলারদের উপর চড়াও হন গত ম্যাচের নায়ক জিয়াউর। রংপুরের পেসার হাসান মাহমুদের করা ১১তম ওভারে ১টি করে চার-ছয়, পরের ওভারে রিপন মন্ডলের বলে দু’টি ছক্কা মারেন জিয়াউর। ষষ্ঠ উইকেটে জিয়াউরের সাথে ২৭ বলে ৩৮ রান যোগ করার পর থামেন তৌফিক খান। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ বলে ২৮ রান করেন তৌফিক। ১৬তম ওভারের শেষ বলে মন্ডলের শিকার হন জিয়াউর। ২৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন জিয়াউর।
দলীয় ১০৬ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে জিয়াউর ফেরার পর চট্টগ্রামকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়ার চেষ্টা করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও শ্রীলংকার বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্ত। অষ্টম উইকেটে ২৪ বল খেলে অবিচ্ছিন্ন ২৬ রান যোগ করেন তারা। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ রান পায় চট্টগ্রাম। মৃত্যুঞ্জয় ২০ বলে অপরাজিত ১৭ ও বিজয়কান্ত ১০ বলে ১১ রান করেন। রংপুরের রাকিবুল-রউফ ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ২৭ বলে ৩৮ রানের সূচনা পায় রংপুর। ১২ বলে ২০ রান করা রংপুরের ওপেনার মোহাম্মদ নাইমকে বোল্ড করে চট্টগ্রামকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ৩টি চার ও ১টি ছয় মারেন নাইম।
আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ২৭ বলে ২৮ রান করে জিয়াউরের শিকার হন। তার ইনিংসে ৫টি চার ছিলো। ৫৮ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান। মারমুখী মেজাজে ব্যাট করেন গুরবাজ। ১১তম ওভারে বিজয়কান্তের বলে ৩টি চার ও ১২তম ওভারে ক্যাম্ফারের বলে ১টি করে চার-ছয় মারেন গুরবাজ। ঐ ওভারেই ১শ রান স্পর্শ করে রংপুর।
১৩তম ওভারে গুরবাজকে থামিয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন নিহাদুজ্জামান। ৩০ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন গুরবাজ। নুরুলের সাথে তৃতীয় উইকেটে ২৮ বলে ৪৫ রান যোগ করে রংপুরের জয়ের পথ সহজ করেন গুরবাজ। জুটিতে ২৩ বলে ৩৮ রান অবদান ছিলো গুরবাজের।
গুরবাজ যখন ফিরেন তখন রংপুরের জিততে ৪৫ বলে ২৭ রান দরকার ছিলো। চতুর্থ উইকেটে ২১ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রান যোগ করে ৪ ওভার বাকী থাকতে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন নুরুল ও ইংল্যান্ডের টম কোলার-ক্যাডমোর । নুরুল ১টি ছক্কায় ১৩ বলে ১৫ ও ক্যাডমোর ১৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১টি চার ও ২টি ছয় মারেন ক্যাডমোর। চট্টগ্রামের নিহাদুজ্জামান ২ উইকেট নেন।