বিনোদন ডেস্ক : প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও সিনেমা নির্মাণে অনুদান দিয়েছে সরকার। এবার অনুদান পাচ্ছে ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। বুধবার (১২ জুন) প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিনেমায় অনুদানের পরিমাণ ও অনুদান প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রনালয়। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি এ অনুদান চালু করা হয়। এবার সেই তালিকায় ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ২টি, শিশুতোষ শাখায় ২টি ও সাধারণ শাখায় ১৬টি সিনেমাকে অনুদান দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে অনুদান দেয়া হয়েছে ৬টি চলচ্চিত্রকে।
এই ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে ১৬টি সিনেমার প্রতিটি অনুদান হিসেবে পাচ্ছে ৭৫ লাখ টাকা করে, আর বাকি ৪টি চলচ্চিত্রকে দেয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা করে। এই চারটির মধ্যে দুটি শিশুতোষ এবং দুটি প্রামাণ্যচিত্র শাখা।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় অনুদান পেয়েছে ‘পাকিস্তানে বন্দিজীবন’ ও ‘ছোঁয়া। পাকিস্তানে বন্দিজীবন সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক সাজেদুল ইসলাম। ছোঁয়ার পরিচালক ও প্রযোজক রাকিবুল হাসান।
শিশুতোষ শাখায় ‘অদ–ভুত’ সিনেমার জন্য রাইদ মোরশেদ ও ‘চলনবিলের মানিক’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন নিয়ামুল মুক্তা। অদ-ভুত পরিচালনা করবেন তাওকীর ইসলাম। অন্যদিকে প্রযোজনার পাশাপাশি ‘চলনবিলের মানিক’ সিনেমাটি পরিচালনা করবেন নিয়ামুল মুক্তা। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে ‘নো ম্যাডস অব দ্য নর্থ’, পরিচালক ও প্রযোজক পিপলু আর খান। অন্যটি ‘কালের যাত্রা’, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে রয়েছেন রাসেল রানা দোজা।
সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে ‘মিহিন গাথা’: প্রযোজক ও পরিচালক মির্জা শবনম ফেরদৌসী; ‘ঠিকানা’: প্রযোজক ও পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর; ‘সুরাইয়া’: প্রযোজক ফজলে হাসান শিশির, পরিচালক রবিউল আলম রবি; ‘জয়া’: প্রযোজক ও পরিচালক গোলাম মোস্তফা; ‘লোভ’: প্রযোজক পিংকি আক্তার, পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার; ‘সখী রঙ্গমালা’: প্রযোজক ও পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী; ‘জাত’: প্রযোজক শেলী কাদের, পরিচালক নারগিস আক্তার; ‘ময়নার চার’: প্রযাজক সুমন পারভেজ, পরিচালক জেড এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু; ‘কালবেলা’: প্রযোজক ও পরিচালক ইব্রাহীম খলিল মিশুক (মিশুক মনি); ‘সেয়ানা’: প্রযোজক মনোজ প্রামাণিক, পরিচালক ইকবাল হাসান খান; ‘আজিরন’: প্রযোজক ও পরিচালক গীতালি হাসান; ‘পোস্টমর্টেম’: প্রযোজক মো. নিজাম উদ্দিন, পরিচালক, আরিফ সিদ্দিকী; ‘হা ঘরে’: প্রযোজক নূর মনির, পরিচালক নাসরুল্লাহ মানসুর; ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’: প্রযোজক ও পরিচালক দেওয়ান নজরুল।
৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় অনুদান পেয়েছে দুটি সিনেমা। এগুলো হলো ‘অপরাজিত ৭১’; প্রযোজক ও পরিচালক মঈন উদ্দিন পাঠান। অন্যটি ‘জলদাসী’। এটির প্রযোজক ও পরিচালক মো. আবদুল খালেক (খালেক সাদমান)। শিশুতোষ শাখায় অনুদান পাচ্ছে ‘ডালিমকুমার ও তালপুকুরের কিচ্ছা’। এটি প্রযোজক ও পরিচালক সামির আহমেদ। সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে তিনটি সিনেমা। এগুলো হলো জুয়েইরাযাহ মউয়ের ‘মৌতালি পিঠার ঘ্রাণ’, এস এম কামরুল আহসানের ‘ফিনিক্স পাখি’ ও মোহাম্মদ মামুন ছোবহানীর ‘আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু’। প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাই ২০ লাখ করে টাকা অনুদান পাচ্ছে।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অনুদান প্রাপ্তদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।