October 8, 2024 - 4:41 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeজাতীয়ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

spot_img

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নির্মাণ করে দেবে সরকার। ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের পাশে সবসময় আছি, থাকবো। তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকের ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো। যারা ঘর পাচ্ছেন, এটা এখন তাদের নিজেদের সম্পত্তি। ঘরবাড়ি তৈরি করে কীভাবে মানুষের জীবনমান উন্নত করতে পারি, সে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঘরগুলো ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১১জুন) সকালে সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৭০টি উপজেলার গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের কর্তব্য। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবেই মনে করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যারা পুনর্বাসিত হয়েছে, তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদাবোধ ফিরে এসেছে। দেশকে উন্নত করতে এটাই সবচেয়ে প্রয়োজন।

সরকারপ্রধান বলেন, কোনোমতেই দেশের জনগণ পিছিয়ে থাকবে না। কারো কাছে ভিক্ষা নিয়ে, হাত পেতে চলতে চাই না। যতটুকু সম্পদ আছে, তা নিয়েই মাথা উঁচু করে চলবো। যেটুকু সম্পদ আছে, তার যথাযথ ব্যবহার করলে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার। অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলের হামলার কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য যেটা করা প্রয়োজন, সেটাই করছি।

কারামুক্তি দিবসের স্মরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ জুন বন্দীখানা থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। আমাদের নেতাকর্মী, সহযোগী সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, সাধারণ মানুষ, যারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। জাতির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। জনগণের যে সমর্থন ভালোবাসা পেয়েছিলাম, সেটা ভোলার নয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক, সাবেক চিপ হুইপ আ স ম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, শাম্মী আকতার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেজবাহুল হাসান বাচ্চু ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় প্রায় দুই হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহয়তা দেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আন্ধার মানিক নদীর ওপর নির্মিত শেখ কামাল সেতু পরিদর্শন শেষে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দেশে পটুয়াখালী ত্যাগ করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ