স্পোর্টস ডেস্ক : গত বছরে ২০ আগস্টের ঘটনা। নারী বিশ্বকাপ পেয়েছিল নতুন চ্যাম্পিয়ন। ফিফা-র শোপিস ইভেন্টের নবম সংস্করণের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাজিমাত করেছিল স্পেন।
সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্পেনের ক্যাপ্টেন ওলগা কারমোনার গোলেই তাঁর দেশ প্রথমবার মেয়েদের বিশ্বকাপ জিতেছিল। এই ঐতিহাসিক রাতে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি না স্প্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি সটান জাপটে ধরেন তাঁর দেশের স্ট্রাইকার জেনি হারমোসোকে। তারপর ফুটবলারের মাথা টেনে নিয়ে ঠোঁটে-ঠোঁট রেখে আদরের চুমুতে ভরান তিনি।
বিশ্বকাপ ফাইনালের ‘কিসকা কিসসা’ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হয়েছিল। আর এই এক চুমুতেই প্রাক্তন সভাপতির সর্বণাশ হয়ে গেল! জানা যাচ্ছে এবার লুইসের আড়াই বছর হাজতবাস হতে পারে! এই ঘটনায় জেরে ফিফা প্রাথমিকভাবে লুইসকে ৯০ দিনের জন্য় সাসপেন্ড করেছিল। পরে তা বেড়ে তিন বছর হয়। জোর করে চুমু পাওয়ায় হারমোসো প্রবল আপত্তি জানিয়ে ছিলেন, এই ঘটনা তাঁর একদমই ভালো লাগেনি!
লুইসেরে শাস্তির জন্য আবেদন করেছেন স্পেনের সরকারি কৌঁসুলিরা। তাঁরা আড়াই বছরের জেল চেয়েছেন। স্প্যানিশ ফুটবলে চুমু কাণ্ড বেশ পুরনো হলেও সেই চুমুর রেশ কিন্তু এখনও কাটেনি।
আদালতের নথিপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশি মিডিয়ার দাবি, ৪৬ বছরের লুইসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং জোর করে শারীরিক হওয়ার অভিযোগ এনেছেন সরকারি কৌঁসুলি মার্তা দুরান্তেস। জোড়া অপরাধের শাস্তিরই দাবি। এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে যে, জেনিকে জোর করে বলানো হয়েছিল যে, চুমু দু’জনের সম্মতিতে হয়েছিল! এই অভিযোগ স্পেন মহিলা দলের তৎকালীন কোচ জর্জ ভিলদা ওফেডারেশনের বর্তমান ক্রীড়া পরিচালক আলবার্ত লুকি, ফেডারেশনের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান রুবেন রিভেরার বিরুদ্ধে। তাঁদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার ইউরো দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন দেখার লুইসের ভাগ্য়ে কী লেখা রয়েছে। সূত্র-জিনিউজ।