স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান আইপিএলে পুরনো সেই ফিজকেই যেন আবারও দেখল তার সমর্থকরা। চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক ম্যাচে নিলেন ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট। যা আইপিএলে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও বটে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বেঙ্গালুরু। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বল ডট দেন মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় বলে ডু প্লেসির কাছে চার হজম করলেও তৃতীয় বলে তাকে সাজঘরের পথ দেখান দ্য ফিজ। মুস্তাফিজের আউটসাইড অফের স্লোয়ার বলটি মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ধরা পড়েন ডু প্লেসি। ডু প্লেসির আউটের পর ক্রিজে আসেন রজত পতিদার। দুই বল ডট দিয়ে তৃতীয় বলটি খোঁচা মেরে উইকেটে ধোনিকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রানের খাতা না খুলেই।
দ্বিতীয়বার মুস্তাফিজকে ১২তম ওভারে বোলিংয়ে আনেন রুতুরাজ। তার দ্বিতীয় বলে স্লোয়ারে পরাস্ত হয়ে মিডউইকেট ক্যাচ দেন কোহলি। তাকে সাজঘরে পাঠাতে বাউন্ডারির পাশ থেকে রিলে ক্যাচ নেন আজিঙ্কা রাহানে ও রাচিন রবীন্দ্র। এক বল বাদে মুস্তাফিজ করলেন কাটার। যা সোজা আঘাত হানে স্টাম্পে। তাতেই ক্যামেরুন গ্রিন ফেরেন সাজঘরে।
আইপিএলে এটাই মুস্তাফিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে ২০১৬ সালের নিজের প্রথম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট ছিল তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
২০১৬ সালের আইপিএলে রাজকীয় অভিষেক হয়েছিল পেসার মুস্তাফিজু রহমানের। হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম আসরেই জিতে নেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। বল হাতে একের পর এক প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পরাস্থ করে পেয়েছিলেন ‘দ্য ফিজ’উপাধি। এরপরই খেই হারান মুস্তাফিজ। পুরনো সেই মুস্তাফিজকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রায় ৮ বছর পর ‘ফিজ’ রূপে আবির্ভাব হলো এই বাঁহাতি পেসারের।
সাম্প্রতিক ফর্মটা ভালো যাচ্ছিল না মুস্তাফিজের। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তিন টি-টি-টোয়েন্টিতে শিকার করেছেন মোটে ২ উইকেট। পরে ওয়ানডে দল থেকে বাদও পড়েছিলেন প্রথম দুই ম্যাচে। চলমান আইপিএলের চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে মোস্তাফিজকে একাদশে জায়গা পাবেন কিনা তা নানা সন্দেহ ছিল অনেকেরই। তবে লঙ্কান পেসার পাথিরানার ইনজুরিতে কপাল খোলে ফিজের। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের একাদশে সুযোগ পান এই টাইগার পেসার। তার পর যা করে দেখালেন এক কথা অবিশ্বাস্য। প্রথম ম্যাচে চার উইকেট শিকার করেছেন তিনি।