মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: উপজেলা-নির্বাচনে-চকরিয়ায়-আলীগের-ডজনখানেক-প্রার্থীউপজেলা চেয়ারম্যান হতে চকরিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেক নেতাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। তবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলোর কোনো প্রার্থীর হাঁক-ডাক এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এরইমধ্যে নির্বাচনে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের ডজনখানেক প্রার্থীকে ভোটের মাঠ গরম করতে দেখা যাচ্ছে।
এসব নিয়ে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া না হলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় ব্যাপক কোন্দলের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই আগাম শুভেচ্ছা জানাতে ব্যস্ত।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের ‘নৌকা’ প্রতীক দেবে না দলটি। যার কারণে দলীয় প্রতীক পাওয়ার জন্য ঢাকায় তদবির চালিয়ে সময় নষ্ট না করে মাঠপর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে মনোযোগী হয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে এর মধ্যেও দলীয় সমর্থন আদায় করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন অনেকে। দলীয় সমর্থন পেলে ভোটে জয়ের পথ অনেকটা মসৃণ হয়ে যাবে বলে কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা।
গণসংযোগসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে অংশ নিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যোগাযোগ বৃদ্ধি করছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। মাঠের রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব তারা।
১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত চকরিয়া উপজেলার সবশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী। এবারও তিনি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চায়। দলীয় প্রতীক যেহেতু এবার নেই, তাই কে প্রার্থী হবে- সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ আবারও প্রমাণ করবে, আমার বিগত দিনের সফলতা কী ছিল।’
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে যাদের নামে গুঞ্জন রয়েছে, তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক একেএম গিয়াস উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরওয়ার আলম, মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরে হাবিব তছলিম, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টো, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পূজা কমিটির সভাপতি তপন কান্তি দাশ, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হায়দার আলী ও বেলাল উদ্দিন শান্ত।
এদিকে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে না যাওয়ার কারণে নির্বাচনি কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী বা নেতা-কর্মীর তৎপরতা দেখা যায়নি। জাতীয় পার্টির প্রার্থীদেরও দেখা মিলছেনা আপাতত। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত পেলে অনেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা স্থানীদের।