নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নিবার্চনের পর এবার সংরক্ষিত আসনের প্রাথীদের নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি নারীদের উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ থেকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চান চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতীর আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহাসিক ১৯ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সীরতুন্নবী (স:) মাহফিলের প্রবর্তক হাফেজ আহমদ প্রকাশ শাহ সাহেব কেবলার পৌত্রী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নারী নেত্রী সাজেদা সুরাত।
প্রবাসে লেখাপড়া করলেও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা সম্পাদক মাটি ও মানুষের টানে দেশের জন্য ভালো কিছু করার অভিপ্রায়ে দেশে আসেন। নারী উদ্যোক্তা হিসাবে দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ থেকে মনোনয়ন চাওয়া কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সাজেদা সুরাত বলেন, ঢাকা ওমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম সহ সমগ্র বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। পরবর্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বৃহত্তর চট্টগ্রাম সহ সমগ্র বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করছি। চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে এই জনপদের সাথে আমার সম্পর্কের শিকড় গাঁথা৷ তাই চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগরের নারীদের জন্য বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে৷
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়ে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন সেই অবস্থানে থেকে চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ করে এখানকার নারীদের জন্য কিছু করে যেতে চাই। যেহেতু আমি ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হয়েছি সেহেতু চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরসহ স্থানীয় কোন পর্যায়ে আমার কিছুই চাওয়া পাওয়ার নেই। বিগত সংসদ নির্বাচনের পূর্ব থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ও সংগঠনের সিদ্ধান্তে আমি এই চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছি।
সাজেদা সুরাত বলেন, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি, কলাউজান ও সাতকানিয়ার চরতী এলাকায় ঘুরে আমার মনে হয়েছে এখানে আমাদের মা বোনেরা নানামুখী চাপের ভেতর বসবাস করছেন। আমার মনে হয় এসব নারীদের কাছে দেশের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার বার্তা পৌঁছে দিতে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাজেদা সুরাত বলেন, ‘ছাত্রজীবন হতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বাবা শাহজাদা জামাল আহমেদ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কখনো কারো সঙ্গে আপোষ করেননি। আমি সংরক্ষিত আসনে দলের মনোনয়ন চাইবো। নেত্রী যদি সুযোগ দেন, দেশ-জাতির জন্য কাজ করতে চাই। নারী উদ্যোক্তা হিসাবে দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। চট্টগ্রামে মহিলা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা এবং মহিলাদের দলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। নেত্রী যদি এমপি হিসাবে মনোনীত করেন ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে পারব।
উল্লেখ্য, সাজেদা সুরাতের দাদা, হাফেজ আহমদ প্রকাশ শাহ সাহেব কেবলা ১৯০৪ সালে চুনতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ব পুরুষ হযরত ওমর (রঃ)’র বংশধর। তাঁর পিতার নাম হযরত মাওলানা ছৈয়দ আহমদ, মাতার নাম হাজেরা খাতুন। দাদা কাজী হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী। তার পূর্বপুরুষ হজরত শাহ আলম খন্দকার আরব দেশ থেকে স্থলপথে দিল্লি আসেন। হজরত মাওলানা শাহ হাফেজ আহমদ (রহ.) বাঁশখালীর ছনুয়া মাদরাসা, চন্দনপুরা দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসা ও কলকাতা আলিয়া মাদরাসায় পড়ালেখা করেন। বিশ্বের একমাত্র ১৯ দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (সা.) প্রতিষ্ঠা করে সর্বশ্রেণীর মুসলমানদের জন্য প্রেরণার ঝর্ণাধারা এবং নজিরবিহীন দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন।