নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল। কিন্তু এদিন প্রতিবেদন দাখিল করেনি দুদক। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
ড. ইউনূস ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, এডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, এডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
এর আগে ৩০ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. ইউনূস ও মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকম বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮তম বোর্ড সভায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় একটা ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের একদিন আগেই ৮ মে খোলা হয় ব্যাংক হিসাব। এই হিসাব দেখানো আছে সেটেলমেন্ট এ্যাগ্রিমেন্টে- যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট এ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকম বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের এ এ্যাকাউন্টে ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করে। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ না জানিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।
কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট এ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল।
এজাহারে আরও বলা হয়, রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, এডভোকেট ফি হিসাবে প্রকৃতপক্ষে হস্থান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা ও এডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।