ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর অধীন জীবননগর উপজেলার মাধবখালী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত যুবক শহিদুল ইসলাম শহীদের মরদেহ ৭ দিন পর অবশেষে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সীমান্ত পিলার ৬৪/এমপি-এর কাছে বিজিবি ও বিএসএফ-এর উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ জীবননগর থানা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
ভারতের টুঙ্গী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের উপস্থিতিতে নিহত শহীদের পিতা মোঃ লস্কর আলী মালিতা, ছোট ভাই মোঃ রুহুল আমিন, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার মোছাঃ শাহিনা খাতুন ও ইউপি মেম্বার মোঃ সাইফুল ইসলাম পাকু লাশটি শনাক্ত করে গ্রহণ করেন।
শনিবার বিকালে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৯ নভেম্বর মাধবখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-৭০/এমপি থেকে প্রায় ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে টুঙ্গি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি চালিয়ে শহীদকে হত্যা করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর বিজিবি ও বিএসএফ-এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের তরফ থেকে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর শহিদুল ইসলামের মরদেহ ফিরে পাওয়ায় পরিবারের শোকের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


