কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চিকিৎসাধীন সাহিল ফারাবি আয়ান নামে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৬ জনে। তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
রোববার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় আয়ান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। দুর্ঘটনায় আয়ানের শরীর ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহিল ফারাবি আয়ান নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
এই ঘটনায় সর্বমোট এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্নে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল বার্নে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতের চাচা ডা. মোস্তফা কামাল আরেফিন জানান, আয়ান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী মাসুদ। তারা মিরপুর মধ্য মনিপুর এলাকায় থাকেন।
এদিকে রোববার (২৭ জুলাই) বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ আরও দুইজন রোগীকে ছাড়পত্র দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে একজন মাইলস্টোন স্কুলের কর্মচারী সবুজা বেগম, অপরজন উদ্ধারকর্মী। আইসিইউতে ভর্তি ৪ জনের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়, যার বেশিরভাগই শিশু।
এদিকে মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


