স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ক্লাবের হয়ে ফিরেও একই রকম ছন্দে দেখা গেল তাঁকে। বছর ঘুরেছে, ক্যালেন্ডার বদলেছে, বদলায়নি মেসির ছন্দ। পিএসজি হয়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই গোল করেছেন তিনি।
বুধবার রাতে অ্যাঙ্গার্সকে ২-০ হারিয়েছে পিএসজি। মেসি যেমন গোল পেয়েছেন, তেমনই প্রথম গোলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। গোটা ম্যাচেই দেখা গিয়েছে তাঁর দাপট।
কিলিয়ান এমবাপে ছুটিতে থাকায় মেসি এবং নেইমারকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালচিয়ে। সামনে রেখেছিলেন হুগো একিতিকেকে। কিন্তু ৪-৩-২-১ ফর্মেশন মাঝেমাঝেই বদলে ৪-৩-৩ হয়ে যাচ্ছিল। মেসি এবং নেইমার দু’দিক দিয়ে আক্রমণে ঝড় বইয়ে দিচ্ছিলেন। একিতিকে ছিলেন মাঝখানে। মেসির সহায়তায় প্রথম গোল করেন একিতিকেই। নেইমার, সার্জিও রামোস এবং ওয়ারেন জাইর-এমেরির সঙ্গে দ্রুত পাস খেলে বিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দ্বিতীয়ার্ধে বল জালে জড়ান মেসি।
পার্ক দ্য প্রাঁসে মেসিকে বিশ্বকাপ নিয়ে উচ্ছ্বাস করার অনুমতি দেয়নি পিএসজি। কিন্তু ম্যাচের আগেই দর্শকদের তারিফ আদায় করে নেন মেসি। প্রয়াত পেলেকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মুখ আঁকা বিশেষ জার্সি পরে ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে নেমেছিল পিএসজি। মেসি এবং নেইমার দু’জনকেই সেই জার্সি পরে দেখা যায়। অনুশীলনের মেসির বল নিয়ন্ত্রণ দেখে চমকে যান সমর্থকরা। দেখে মনেই হচ্ছিল না তিনি ২৪ দিন পর কোনও ম্যাচ খেলতে নামছেন। এতটাই স্বচ্ছন্দে ছিলেন তিনি।
পিএসজি কোচ গালচিয়ে ম্যাচের পর বলেছেন, “বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে আবার আমরা মাঠে দেখতে পেলাম। ও আমাদের দলে থাকলে খেলা যে অনেকটাই বদলে যায়, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপ এত দিন জিততে পারেনি। সেটা পাওয়ার পরে মেসি এখন প্রচণ্ড খুশি। শারীরিক ভাবে খুবই ফিট। তাই জন্যেই পুরো ম্যাচে খেলতে পেরেছে।”
১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ফরাসি লিগে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। আগামী রবিবার তারা খেলবে রেনেঁর বিরুদ্ধে। ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপেক্ষা করছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন:
তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ৮ সেলাই, ২ সপ্তাহ মাঠের বাইরে