নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ, যিনি ‘বুড়ির নাতি সাজ্জাদ’ নামে পরিচিত, তাকে গ্রেপ্তারে সঠিক তথ্য প্রদানকারীদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সিএমপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৫), পিতা- মো. জামাল, মাতা- রুনা বেগম, সাং- শিকারপুর, সোনা মিয়া সওদাগর বাড়ি, থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রামকে গ্রেপ্তারে সহায়তাকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের উপযুক্ত অর্থ পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া, তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় বক্তব্য দেন সাজ্জাদ। এসময় তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে অক্সিজেন মোড়ে ধরে মারধরের হুমকি দেন।
ওসি আরিফুর রহমান জানান, সাজ্জাদের এই হুমকির ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “সাজ্জাদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে সে ফেসবুকে মিথ্যাচার করছে।
সাজ্জাদ দীর্ঘদিন ধরে বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও হাটহাজারী এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। স্থানীয়রা জানান, সে নিয়মিত নির্মাণাধীন ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করে এবং তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে গুলি করে হত্যা করে সাজ্জাদ বাহিনী। একই বছরের ৫ ডিসেম্বর অক্সিজেন মোড়ে পুলিশ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্যসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, কেউ সাজ্জাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানাতে। তথ্যদাতার নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সিএমপি।