সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ভবনের ছাদে ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে পড়েছে ভেতরের রড ও ইট। পিলারেও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। জরাজীর্ণ এ অবস্থা হাঁটকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এ ভবনের তিনটি শ্রেণি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আতঙ্কে থাকেন। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। ফলাফলের দিক দিয়ে গোটা উপজেলায় বিদ্যালয়টি এগিয়ে থাকলেও ভবনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
জরাজীর্ণ ভবনে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান। যে কোনো মুহূর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। একাধিক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে কক্ষ দরকার ১১টি। কিন্তু আছে মাত্র তিনটি। গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে। ভবনের অবস্থাও ভয়াবহ। অন্য কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মাঝেমধ্যেই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে হয়। আতঙ্কে শিক্ষকরা যখন পড়ান তখন তারা পাঠে মনোযোগ দিতে পারে না।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩৫ বছর পার হলেও এখনো পরিত্যাক্ত ভবনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। নতুন ভবনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ে দক্ষ শিক্ষক আছে। প্রতিবছর ভালো ফলাফলও করছে। অথচ অবকাঠামোর অবস্থা করুন। কোনো রকম জোড়া তালি দিয়ে পাঠদানের কাজ চলছে। কখন ভেঙে পড়ে সেই ভয়ে এবং আতঙ্কে থাকতে হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আপেল মাহমুদ জানান, হাঁটকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলায় প্রায় ৪৯টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ভবনগুলো নতুনভাবে নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় শিশুদের নিরাপত্তায় দ্রুত কী করা যায়, সে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’