নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পে দুর্বৃত্তদের হামলায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে এ হামলার ঘটনায় বিভিন্ন স্থাপনা ও যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং মূল্যবান নির্মাণ সামগ্রী লুট করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তারা জানান, ‘বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে প্রকল্প এলাকায় থাকা পাঁচজন কর্মীকে রশি দিয়ে বেঁধে দুর্বৃত্তরা লুটপাট চালায়। এরপর দুটি স্কেভেটর, পাঁচটি ট্রাকসহ ভারি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২১ হাজার জিও ব্যাগ, জেনারেটর, লোহাসহ প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।’
প্রকল্পের পরিচালক জমির আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘ দুই মাস ধরে আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করছি। তবে স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজের পক্ষ থেকে নানা সময় চাপ ও হয়রানির শিকার হচ্ছি। বুধবারের হামলায় বাচ্ছু, আউয়াল ও মেহেদী গং জড়িত বলে আমরা সন্দেহ করছি।’
মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক হাজী মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, ‘হামলার ঘটনায় আমাদের প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মূল্যবান যন্ত্রপাতি ধ্বংসের পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রী লুট করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় বঙ্গোপসাগরে জিও ব্যাগের মাধ্যমে সমুদ্র বন্দরে বাঁধ নির্মাণ কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য কমডোর কাওছার রশিদ (ই, পিএসসি, বিএন) বলেন, ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অফিস ও রেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ করছিল। দুর্বৃত্তরা সেখানে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং বড় ধরনের ক্ষতি করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং এর পেছনে কারা জড়িত তা দ্রুতই উদঘাটন হবে।’
এ ঘটনায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও সুরক্ষা দাবি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে এ ধরনের হামলা ভবিষ্যতে প্রকল্পের অগ্রগতিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।