বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নে দাসগ্রাম-ধুন্দার একমাত্র রাস্তার কালভার্টটির একটি অংশ ধসে পড়লেও প্রায় ১ বছরেও এখনো সংস্কার করা হয়নি। এতে করে ১৫ গ্রামের মানুষের মরণফাঁদ হলেও বাধ্য হয়েই ওই রাস্তায় যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দাসগ্রাম নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল পাড় হয়েই ধুন্দার বাজারে চলে গেছে পাকা রাস্তাটি। রাস্তার মধ্যে বেশ কয়েকটা কালভার্ট। দাসগ্রাম নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল পাড় হয়েই প্রথম যে কালভার্ট তার ছাদের বড় অংশ ভেঙে পড়ে আছে। ভেঙে যাওয়া অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী ও কমলমতি শিক্ষার্থীরা। শুধু ভেঙে যাওয়া অংশই নয় পুরো কালভার্টটিই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তা ধরেই শিক্ষার্থীদের আশপাশের স্কুল-কলেজে যেতে হয়। হাটবাজারে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করতে হয়। যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার ভাঙা কালভার্টের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। যে কোনো সময় এ কালভার্টে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কালভার্টটি সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, দাসগ্রাম রাস্তার কালভার্টটি ভেঙে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। বাজেট পাস হলেই আমরা মেরামতের কাজ শুরু করব। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী আবু তালিম হোসেন বলেন, কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে মেরামত করা হবে।