নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৫ সালের জন্য হজের দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং অন্যটিতে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘হজ প্যাকেজ-২০২৫’ ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম ড. খালিদ হোসেন।
গতবারের তুলনায় ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৫ টাকা কমিয়ে সরকারিভাবে সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। পাশাপাশি সরকারিভাবে সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর আওতায় হজে যেতে খরচ হবে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। যেখানে গত বছরের তুলনায় প্যাকেজের দাম কমেছে ১১ হাজার ৭০৭ টাকা।
অন্যদিকে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৪৪ টাকা কমিয়ে বেসরকারিভাবে হজে যেতে ঘোষিত প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।
হজের দুটি প্যাকেজের একটি পবিত্র কাবা শরিফ থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য, আরেকটি কাবা শরিফের আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য। দুটি প্যাকেজেই গত বছরের চেয়ে খরচ কমেছে।
এবার বিশেষ প্যাকেজ থাকছে না। এই বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
এর আগে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী বছরের হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলামসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
ধর্মমন্ত্রণালয় জানায়, মক্কার হারাম শরিফ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আজিজিয়া নামক স্থানের সঙ্গে মিল রেখে প্যাকেজের নাম ‘আজিজিয়া’ রাখা হচ্ছে। ২০২০ সালে তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত শেখ মো. আবদুল্লাহ এ প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু করোনার কারণে তা আটকে যায়। দুবছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে পুনরায় হজ চালু হলে এটি নিয়ে আর তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালে হজের খরচ দেড় লাখ টাকা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে এ প্যাকেজ চালুর উদ্যোগ নেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু নানা কারণে সে বছর এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সেই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে। আর ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে হজ ফ্লাইট। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক হাজিকে দূরত্ব ও খাবারের জন্য এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে চুক্তির ব্যত্যয় ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।