October 8, 2024 - 8:25 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশহরিরামপুরে লালন সাঁইজির গুরুকুল আশ্রমসহ পদ্মায় বিলীন দুইটি বসতবাড়ি

হরিরামপুরে লালন সাঁইজির গুরুকুল আশ্রমসহ পদ্মায় বিলীন দুইটি বসতবাড়ি

spot_img

সাইফুল ইসলাম তানভীর, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার হারুকান্দী এলাকায় প্রবল স্রোতে নদী তীরবর্তীতে লালন সাঁইজির ভক্তদের মিলনমেলার গুরুকুল আশ্রমের ঘরসহ দুইটি বসতভিটার ঘর ও আসবাবপত্র পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতও তীব্র হয়েছে। সেই সঙ্গে নদীতীর উপচে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। এছাড়া পানির তীব্র স্রোতে আবার দেখা দিয়েছে পদ্মার ভাঙ্গন।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহিনুর রহমান জানান, বর্তমানে নদীর পাড় পানির নীচে অবস্থান করছে।এসময় জিও-ব্যাগ ডাম্পিং করলে তা কার্যকর হবে না। কাজ করার উপযোগী হলেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করব।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরের দিকে গুরুকুল আশ্রম ও বসতভিটা ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হারুকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন।

জানা যায়, উপজেলার হারুকান্দি ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে পদ্মার তীরবর্তীতে অবস্থিত লালন সাঁইজির ভক্তদের মিলনমেলার আশ্রয়স্থল গুরুকুল আশ্রমের ঘরসহ বসতভিটার অর্ধাংশ ও একই গ্রামের মোঃ চুন্নু মিয়া এবং মোঃ নান্নু মিয়ার বসতবাড়ির অর্ধাংশসহ দুইটি ছাপরা ঘর ও আসবাবপত্র পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরসহ আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।

ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন করেন হারুকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন জানান, ভাঙ্গনের বিষয়ে আমি ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতা করা যায় সেজন্য লিখিতভাবেও আবেদন করব।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন জানান, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে আমার উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠিয়েছি। ভাঙ্গন কবলিত হারুকান্দি এলাকাটি নীচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বেশীর ভাগ অংশে নদীর পাড় পানির নীচে অবস্থান করে। ফলে এসময় জিও-ব্যাগ ডাম্পিং করে সুফল পাওয়া যাবে না।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী খুব শীঘ্রই পদ্মার পানি কিছুটা হ্রাস পাবে। আমরা পর্যাপ্ত জিও-ব্যাগ মজুদ রেখেছি। বন্যার পানি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসা মাত্র আমরা জিও-ব্যাগ ডাম্পিং করে মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করবো। ইতিমধ্যে আমরা আন্দারমানিক ঘাট এলাকার উজানে ও ভাটিতে জিও-ব্যাগ ডাম্পিং করেছি। এছাড়াও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের মালুচী এলাকায় ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩৬ মিটার এলাকা আপদকালীন জিও ব্যাগের কাজ হাতে নিয়েছি। পদ্মার পানি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলে আমরা হরিরামপুরের আরও কিছু জায়গায় মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করবো।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ